চাঁদপুর, রবিবার ২৬ জুলাই ২০১৫ | ১১ শ্রাবণ ১৪২২ | ৯ শাওয়াল ১৪৩৬
jibon dip

সর্বশেষ খবর :

  • -
এক পায়ে দাঁড়ানো সেই তাল গাছ হারিয়ে যাচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০:০০
প্রিন্টঅ-অ+

আবহমান গ্রাম-বাংলার চিরচেনা চিত্র হলো সবুজ বন বনানী। মাঠ জুড়ে সবুজের ঢেউ খেলানো নয়নাভিরাম দৃশ্য। বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে, খালের পাড়ে ও রাস্তার পাড়ে তাল গাছ বাংলাদেশের প্রকৃতিকে করেছে বিশ্ব নন্দিত। কবি সাহিত্যিকগণ বাংলার প্রকৃতিকে নিয়ে লিখেছেন চিত্তাকর্ষক সব রচনা। এসব সৌন্দর্যের পেছনে রয়েছে আকর্ষণীয় সব প্রজাতির সমারোহ। এর মধ্যে বাঙালির অতি প্রয়োজনীয় একটি গাছ হলো তাল গাছ। যেটিকে অন্য সব গাছ থেকে আলাদাভাবে দেখা যায়, চেনা যায়। সেজন্যে কবি লিখেছেন : তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে। এখন গ্রাম-গঞ্জে, শহরে-বন্দর থেকে ক্রমশঃ হারিয়ে যাচ্ছে তাল গাছ।

আমাদের দেশের গ্রাম-বাংলার অতি প্রয়োজনীয় গাছ হিসেবে পরিচিত তাল গাছ। তাল গাছে তাল হয়, আসাড়ী হয়, তাল থেকে অনেক সুস্বাদু খাবার পায়েশ পিঠা হয়, তালের লম্বা জট পুড়ে দাঁতের মাজন হয়, তাল পাতার পাখা হয়, ঘরের ছাউনি হয়, তাল গাছে বাবুই পাখি বাসা বানায়, সবুজের সমারোহ ছড়ায়, তালের রসে বলকারক ঔষধ হয়, তালের রসে তাড়ি হয়, তাল গাছে কোন্দা (নৌকা) হয়। তালের কাঠ খুবই মজবুত বিধায় ঘরের খুঁটি কিংবা আড়া খুব ভালো হয়। তালগাছ ফসলের ক্ষতি করে না। তাল গাছ দীর্ঘজীবী, মজবুত ও লম্বা হয়, আরো কত কি? এত গুণাগুণের গাছ বাংলাদেশে খুব কমই পাওয়া যায়। ভাদ্র-আশ্বিন মাসে তালের বিচি রোপণ করতে হয়। প্রবাদ আছে 'বারো বছরে ফলে তাল.......যদি না লাগে গরুর পাল।'

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়ার আব্দুল লতিফ পাটোয়ারী জানান, পাকিস্তান আমল থেকেই এসব এলাকায় তাল গাছের কদর ছিলো বেশি। আমরা আমাদের এলাকায় তালের কোন্দা (নৌকা) বানাতাম। এখন আগের মতো বড় বড় তালগাছ পাওয়া যায় না। বর্তমানে মানুষজন তালগাছ কেটে ফেলে। কিন্তু নতুন করে কেউ আর রোপণ করে না। আমার অনেক তালগাছ ছিলো। নিজ প্রয়োজনে বাড়ি-ঘর করতে গিয়ে অনেক গাছ কেটে ফেলতে হয়েছে। আব্দুল লতিফ পাটোয়ারীর মতে, প্রকৃতি থেকে একটি প্রয়োজনীয় গাছ হারিয়ে যাবে এটা মেনে নেয়া যায় না। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে তাল গাছের উপকারিতা সম্পর্কে অবগত করলে এবং সরকারি ভাবে উদ্যোগ নেয়া হলে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য তাল গাছ হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না।

খবরটি সর্বমোট 2 বার পড়া হয়েছে
হেরার আলো
বাণী চিরন্তন
আল-হাদিস

২০-সূরা : তা-হা

১৩৫ আয়াত, ৮ রুকু, মক্কী

পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু  আল্লাহ্র নামে শুরু করছি।



৫৫। আমি মৃত্তিকা হইতে তোমাদিগকে সৃষ্টি করিয়াছি, উহাতেই তোমাদিগকে ফিরাইয়া নিব এবং উহা হইতে পুনর্বার তোমাদিগকে বাহির করিব।

দয়া করে এই অংশটুকু হেফাজত করুন


সত্যের জন্যে শহীদ হওয়া অপেক্ষা মুসলমানদের জন্যে মুক্তির আর কোনো প্রশস্ত পথ নেই।

-জিন্নাহ।


পিতা-মাতার প্রতি কু-বাক্য প্রয়োগ করা গুরুতর পাপকার্য। পিতার সুহৃদবর্গের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা অতিশয় পুণ্যজনক কাজ।

  - হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)


ফটো গ্যালারি
করোনা পরিস্থিতি
বাংলাদেশ বিশ্ব
আক্রান্ত ৭,৫১,৬৫৯ ১৬,৮০,১৩,৪১৫
সুস্থ ৭,৩২,৮১০ ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮
মৃত্যু ১২,৪৪১ ৩৪,৮৮,২৩৭
দেশ ২০০ ২১৩
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আজকের পাঠকসংখ্যা
২৯১৩৪০২২
পুরোন সংখ্যা