শনিবার দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৮ তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে শিক্ষিত ও মেধাবীদের নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়েছেন
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের আদর্শ শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি। এ আদর্শ নিয়েই ছাত্রলীগকে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের সবাইকে সেই আদর্শবান হতে হবে। ঠিক তেমনই নেতৃত্বের ক্ষেত্রে যারা মেধাবী ও আদর্শবান তাদেরকেই নির্বাচিত করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রলীগ উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন সংগঠন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সবসময় আদর্শ নিয়ে চলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বলেছেন, আদর্শহীন কোনো সংগঠন জাতির স্বার্থরক্ষা করতে পারে না। ত্যাগ ছাড়া কোনো নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয় না।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি অগ্রগতি লাভ করতে পারে না। আমি নিজেই ছাত্রলীগের হাতে খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলাম। ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা জীবনে ছাত্রলীগের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত থাকার পরেও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে একটি সদস্য পদও পাইনি। আমি এটা সবখানেই বলে থাকি। এটা আমার দুঃখ থেকে যাবে। আমি রাজনীতি করেছি পদের জন্য নয়। আদর্শই আমাকে রাজনীতিতে এখানে নিয়ে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কর্মীরা প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ত্যাগ স্বীকার করে আসছে। ত্যাগের মনোভাব আছে বলেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫-এ জাতির জনককে নির্মমভাবে হত্যার পর ছাত্রলীগ তার প্রতিবাদ জানিয়েছিল। এর পর থেকে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগ প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও অগ্রণী ভূমিকা রাখে। যার ফলশ্রুতিতে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে।’
তিনি অভিযোগ করেন, আইয়ুব খানের মতো জিয়াও ঘোষণা দিয়ে দেশের ক্ষমতা দখল করেন। ক্ষমতা দখল করেই তিনি যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেন। স্বাধীনতার চেতনা নস্যাৎ করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা যখন সরকার গঠন করেছি তখনই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূল করেছি। অথচ বিএনপি জামায়াত ২১ বছর দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই। আমাদের দুর্ভাগ্য ৭৫-এ যদি জাতির পিতাকে হত্যা করা না হতো তালে আজ আমরাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরের চেয়েও উন্নত দেশে পরিণত হতাম। দুর্ভ্যাগ বাংলাদেশের, দুর্ভাগ্য বাঙালি জাতির।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। পাবলিক বিশ্যবিদ্যালয় থেকে প্রতিটি ক্ষেতে আমরা শিক্ষাকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কম্পিউটার ল্যাপ্টপ সব এখন হাতে হাতে। প্রযুক্তিকে আমরা ধারণ করবো। আমরা গবেষণার দিকেই প্রধান্য দিয়েছি বলেই আজ বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে একটা আদর্শের ওপর ভিত্তি করে। সেই শিক্ষাকেই প্রধান্য দিয়ে আগামী দিনের নেতৃত্বেকে গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজ ছাত্রলীগের যারা নেতত্বে তারাইতো আগামী দিনে দেশের নেতত্বে আসবে। বাংলাদেশ পরিচালনা করবে। আমি নিজেও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম। প্রতিটি সংগ্রামে ছিলাম। কিন্তু আমি কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো সদস্য হতে পারিনি। এটা আমার দুঃখ থেকেই যাবে।’
ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পটভূমি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন স্বাধীনতা ও বাংলা ভাষা নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছিলো জাতির পিতার নেতৃত্বেই ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা হয়। বাংলাদেশে আজ যদি শহীদের তালিকা দেখি তাহলে দেখবো ছাত্রলীগেই রক্ত ঝরেছে বাংলাদেশের প্রতিটি অর্জনে।’
যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকর শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যদিয়েই জাতির পিতা বিচারের যে কাজ শুরু করেছেন তা সমাপ্ত করা হবে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘স্বাধীন জাতি হিসেবে আজ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দারিদ্র ও ক্ষুধা নির্মূলে আমরা কাজ করছি। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে যাচ্ছি। এটা মোকাবলোর একমাত্র মুক্তিই আমাদের সততা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটা মাত্র শত্রু আছে। আর তা হচ্ছে দারিদ্র। আমরা এ বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। আমরা আমাদের প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করেই আজ যোগাযোগের একটা মডেল স্থাপন করতে পেরেছি।’
সংগঠনের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, মন্ত্রিসভার সদস্যসহ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ফজর | ৪:৫৮ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২০-সূরা : তা-হা সত্যের জন্যে শহীদ হওয়া অপেক্ষা মুসলমানদের জন্যে মুক্তির আর কোনো প্রশস্ত পথ নেই। পিতা-মাতার প্রতি কু-বাক্য প্রয়োগ করা গুরুতর পাপকার্য। পিতার সুহৃদবর্গের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা অতিশয় পুণ্যজনক কাজ। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |