'প্রতিটি কৃষকের বাড়ির আবর্জনা/গোয়াল ঘর হবে একটি মিনি সার উৎপাদন কারখানা' তারই প্রয়াসের একটি হচ্ছে সাধারণ কম্পোস্ট হিপ তৈরি। আসুন জানতে চেষ্টা করি কম্পোস্ট কী? কম্পোস্ট মূলত একটি ল্যাটিন শব্দ। যার অর্থ হচ্ছে কয়েকটি জিনিস একত্রে মিশানো। ১৯২১ সালে সর্ব প্রথম হাচিনসন ও রিচার্ড নামে দুজন বিজ্ঞানী প্রথম খড় থেকে এই কম্পোস্ট সার উৎপাদন করেন।
* কম্পোস্ট সার তৈরির উপাদান : কচুরিপানা ও বিভিন্ন আবর্জনা।
* সার উৎপাদনের সময় কাল : ৯০ দিন/৩ মাস।
* তৈরির পদ্ধতি : ২ প্রকার। যথা : (১) স্তূপ পদ্ধতি। (২) গর্ত পদ্ধতি।
* মাপ : দৈর্ঘ্য ৩ মিটার প্রস্থ ১.২৫ মিটার, উচ্চতা ১২৫ সেন্টি মিটার। সুবিধানুযায়ী
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কম বেশি করা যায়।
* স্তূপ পদ্ধতি : এই পদ্ধতিতে মাটির উপর কচুরিপানা ও আবর্জনা স্তরে স্তরে সাজিয়ে
এই কম্পোস্ট তৈরি করা হয়।
১। প্রথমে শুকনো কচুরিপানা ও আবর্জনা ১৫ সে. মি. পুরু স্তরে সাজাতে হবে।
২। তারপর ঐ স্তরের উপর ২০০ গ্রাম ইউরিয়া, ২০০ গ্রাম টিএসপি ছিটিয়ে প্রায় ৫ সে.
মি. পুরু গোবর ও কাদা মাটির প্রলেপ দিলে পচন কার্য তাড়াতাড়ি সম্পাদিত হয়
এবং সুষম সার তৈরি হয়।
৩। এভাবে ১.২৫ মিটার উঁচু না হওয়া পর্যন্ত একই ভাবে পুনঃ পুনঃ স্তরে সাজাতে হবে।
৪। পচন কার্য দ্রুত সম্পাদনের জন্য ৩০ দিন পর ১ম বার এবং ৬০ দিন পর ২য় বার
গাদার স্তর ওলট-পালট করে দিতে হবে।
৫। যদি গাদা শুকিয়ে যায় তা হলে গাদার উপর ছিদ্র করে গো-চনা বা পানি ঢেলে দিতে হবে।
৬। তাজা/সবুজ কচুরিপানা ব্যবহারে পটাশ ও নাইট্রোজেনের উপাদান নষ্ট হয়ে যাওয়ার
সম্ভাবনা থাকে।
৭। কচুরি স্তর সাজানোর আগে মোটামুটি শুকিয়ে নিতে হবে।
প্রয়োগ মাত্রা :
* এই সারে খাদ্য উপাদানের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম থাকে। তাই সুফল পেতে হলে অনেক বেশি পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।
* কম্পোস্ট সারের পুষ্টিমান : (কতটুকু রাসায়নিক সারের সমান কাজ করে)।
কম্পোস্ট সাধারণ- জৈব সারের পরিমাণ- ইউরিয়া- টি.এস.পি.- এমওপি- মন্তব্য
০১- ০২- ০৩- ০৪- ০৫- ০৬-
সার- ৩৭ কেজি- ০.৩২ কেজি -০.২৫ কেজি- ০.৪৩ কেজি- কম্পোস্ট সাধারণ সার ব্যবহার
ঐ- ১টন/১০০০ কেজি- ২.৫০ কেজি - ১.০০ কেজি- ৩.০০ কেজি- ঐ
বিঃ দ্রঃ তথ্যসূত্র : FERTILIZER RECOMMENDATION GUIDE-2015; PAGE NO-238, (BRAC), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল
এই সারের ব্যবহারের কার্যকারিতা/গুরুত্ব অপরিসীম।
* রাসায়নিক সারের মতো এ সারের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
* যা আছে, তাতে সবটুকু জুড়ে শুধু সুবিধা আর সুবিধায় ভরপুর যেমন : মাটিতে রস মজুদ রাখতে ও বাতাস চলাচলে সহায়তা করে। রাসায়নিক সারের কার্যকারিতা বাড়ায়।
* রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বিষাক্ততা কমাতে সাহায্য করে।
* পরিবেশ সুন্দর ও পরিপাটি থাকে।
*গুদাম জাত শস্যের সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
* মৃত্তিকাস্ত অনুজীবের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ক্রিয়াশীল করে তোলে। সুতরাং শহর-বন্দর, গ্রাম-গঞ্জে কম্পোস্ট সার তৈরির মাধ্যমে আমাদের চার পাশের পরিবেশ সুন্দর করে, পরিবেশ বান্ধব কৃষি কাজে এগিয়ে আসি।
লেখক : উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি অফিস, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর। মোবা : ০১৭১৪-৫০১০২৭
ফজর | ৪:৫৮ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২০-সূরা : তা-হা সত্যের জন্যে শহীদ হওয়া অপেক্ষা মুসলমানদের জন্যে মুক্তির আর কোনো প্রশস্ত পথ নেই। পিতা-মাতার প্রতি কু-বাক্য প্রয়োগ করা গুরুতর পাপকার্য। পিতার সুহৃদবর্গের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা অতিশয় পুণ্যজনক কাজ। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |