চাঁদপুর জেলা শহরে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা আনারসে ভরে গেছে বাজার। চলছে আনারসের ভরা মৌসুম। রাসায়নিক প্রয়োগ করা আকর্ষণীয় রং এবং আকারে বড় আনারসে ভরে গেছে বাজার। আনারসে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করায় নষ্ট হয়ে গেছে এর স্বাদ ও গন্ধ। স্বাভাবিক মাত্রায় রাসায়নিক প্রয়োগ করলে কোনো ক্ষতির কারণ না হলেও বেশি মুনাফার আশায় চাষী ও ব্যবসায়ীরা আনারসে দফায় দফায় অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করছেন বিষাক্ত এ রাসায়নিক। ফলে এ ফলটি হুমকি হয়ে উঠছে জনস্বাস্থ্যের জন্য। যারা বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছেন তারা আনারস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে ভোক্তাদের বেশির ভাগ রাসায়নিক মুক্ত আনারস রেখে রাসায়নিক মেশানো আনারসই কিনে নিচ্ছেন। কারণ রাসায়নিক দেওয়া আনারস দেখতে পাকা হলুদ রঙ্গে আকর্ষণীয় এবং আকারেও বেশ বড়। অন্যদিকে রাসায়নিক ছাড়া আনারস দেখতে হলুদ নয় এবং আকারেও অনেকটা ছোট। এজন্যে সাধারণ কৃষক রাসায়নিক মুক্ত আনারস আবাদ করে সময়মতো বিক্রি করতে পারেন না। তারা ক্ষতির মুখে পড়েন।
টাঙ্গাইল মধুপুর থেকে চাঁদপুরে আনারস বিক্রি করেন কৃষক আরশেদ আলী। তিনি জানান, বেশি লাভের জন্যে চাঁদপুরে এবং পার্শ্ববর্তী জেলায় বিক্রি করি। গত বুধবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যান ঘাটায় আরশেদ আলী ১টি পিকআপ ভ্যানে করে আনারস বিক্রি করছিলেন। তার গাড়িতে বোঝাই আনারস। দেখতে খুব বড় বড়। আনারসের হালি ২শ' টাকা করে। তার সাথে আনারসের দাম নিয়ে দর কষাকষি করতে গিয়ে বেরিয়ে এলো অনেক তথ্য। তিনি জানান, গাছ থেকে ফল বের হওয়ার আগেই প্রথম রাসায়নিক দিতে হয়। তারপর ২০-২২ দিন পর আবার দিতে হয়। দেড় মাস পর শেষবার ফল পাকানোর জন্য রাসায়নিক দিতে হয়। তিন দফায় রাসায়নিক দিলে ফল বড় হয় এবং হলুদ রং হয়ে পেকে যায়। তবে রাসায়নিক দিলে আনারসের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায় বলে তিনি স্বীকার করেন। সে জন্যে এটা না দেওয়া ভালো বলে তিনি মনে করলেও লাভের কারণে রাসায়নিক প্রয়োগ করে থাকে বলে জানান। মূলত ভোক্তাদের কারণেই আনরসে রাসায়নিক মেশানো হয়। কারণ ক্রেতা চায় বড় ও হলুদ আনারস। তাদের চাহিদা মতো করতে এ রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।
এ ব্যাপারে কথা হয় চাঁদপুরের ফল বিক্রেতাদের সাথে। তারা চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, আনারসে রাসায়নিক মেশানো হয় কিনা তারা জানেন না। তবে আজ থেকে প্রায় ৭-৮ বছর আগে যখন আনারস বিক্রি করতাম তখন দেখতাম মাছি বসতো। আনারসের স্বাদ ছিলো, গন্ধ ছিলো অন্য রকম। এছাড়া মৌমাছিও বসতো আনারসের উপর। এখন আনারসে রস নেই। কাটলে পানির মতো বের হয়। মজা লাগে না। পুরানো এক ব্যবসায়ী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ঔষধ ছাড়া আনারস বাজারে তোলার পর তা বিক্রি হয় না। কারণ দেখতে সুন্দর না, আকারেও ছোট। আর ঔষধ দেওয়া আনারস দেখতে হলুদ-পাকা এবং আকারে বড়। ক্রেতারা সেটিই আগ্রহ নিয়ে কেনেন। আনারসে রাসায়নিক প্রয়োগের দোষ শুধু চাষী-ব্যবসায়ীদের দেয়া হয়। এজন্যে প্রথমে সচেতন হতে হবে ক্রেতাদের। তাহলে কৃষক এমনিতেই রাসায়নিক দেওয়া বন্ধ করে দিবে। চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, আনারসে রাসায়নিকের কারণে মানবদেহে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। রাসায়নিক যুক্ত আনারস খেলে তাৎক্ষণিক বমি, পাতলা পায়খানা, বদহজম হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী এ আনারস খেলে লিভার, কিডনী খারাপ হয়ে যেতে পারে। গর্ভবতী মহিলা ও তার বাচ্চার ক্ষতিও হতে পারে।
ফজর | ৪:৫৯ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২০-সূরা : তা-হা সত্যের জন্যে শহীদ হওয়া অপেক্ষা মুসলমানদের জন্যে মুক্তির আর কোনো প্রশস্ত পথ নেই। পিতা-মাতার প্রতি কু-বাক্য প্রয়োগ করা গুরুতর পাপকার্য। পিতার সুহৃদবর্গের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা অতিশয় পুণ্যজনক কাজ। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |