সবাই মনে করেন কদম বর্ষার ফুল। কবিতা ও গানে বর্ষার সঙ্গে কদমের ভালবাসা ও আসঙ্গলিপ্সার কথা প্রতিষ্ঠিত সত্য হয়ে আছে। আষাঢ়ের বৃষ্টির জন্য সে আর অপেক্ষা করতে পারে না। আমাদের দেশের বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টি আসে আটলান্টিক মহাসাগর ও ভারত মহাসাগর হয়ে। সাধারণত জুনের ৮-১১ তারিখের আগে মৌসুমী বায়ু বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে আমাদের দেশে পৌছাতে পারে না। অর্থাৎ ২৮ জ্যৈষ্ঠ নাগাদ মৌসুমী বৃষ্টির শুরু হয়। পথে দেরি হয়ে গেল আমাদের বর্ষারও দেরি হয় আরো দু-চার দিন।
কদম, বৃষ্টি ও মেঘরৌদ্র নিয়ে বাংলার কবিতা ও গান অত্যন্ত সমৃদ্ধ। রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত শিহরণ জাগানিয়া গান, বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান, আমি দিতে এসেছি শ্রাবনের গান। আমাদের আপ্লুত করে নজরুলের, দোলে শিহরে কদম' বিদরে কেয়া/নামিল দেয়া, বর্ষার কবিতা ও গানে তাঁরা রাজাবিরাজ পূর্বসূরি।
কেন এমন হয়! প্রাক বর্ষার কদমের বর্র্তুল সোনালি আকৃতি থেকে সাদা গর্ভমুন্ড কেশর, সর্বোপরি তার বিখ্যাত সুগন্ধ আমাদের আচ্ছন্ন করে কদমের গোলকটি অনেকগুলো ফুলের সমষ্টি ও এতই কমনীয় যে কঠিন হাতের স্পর্শে সইতেই পারে না। কৌমার্য কোমলতাই তার বিখ্যাত সম্পদ। তার ওপর বৃষ্টি বিন্দু পড়ে হৃদয়বিদারী মোহ সৃষ্টি হয়। ফুলদানিতে একটি কদম যেমন, খোঁপায়ও তুলনাহীন। আষাঢ়ের বৃষ্টির কোমলতার পরশের আমন্ত্রণ জানায়। কদমতলে বংশী বাজে মরমে। বাংলাদেশের যেখানে যেখানে বজ্রগর্ভ মেঘে বৃষ্টি হয়েছে সেখানে কদম ফুটেছে অথবা ফুটবে, এর ব্যতিক্রম নেই, আর কদম ফোটার সময় কোকিল ও পাপিয়া মিলন-বিরহে অাঁতুড়কে ডেকে ডেকে আরো অবসন্ন করে দেয়। কদম তিন রকম ধারাকদম্ব, নীপ প্রাকৃষ্ণ, পুলকি ইত্যাদি। দ্বিতীয়টি ধূলিকদম্ব, বসন্ত পুষপ, রেনুকদম্ব এটি বসন্তে ফোটে। এছাড়া তৃতীয়টি হলো ভূমিকদম্ব এটি বৃক্ষ নয়, একরকম ফুল ও ফল কদমের মতো তবে খুব ছোট।
ফজর | ৪:৩৪ |
যোহর | ১২:০৩ |
আসর | ৪:৩০ |
মাগরিব | ৬:১৮ |
এশা | ৭:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২০-সূরা : তা-হা বড়দের সম্মান কর, ছোটরা তোমাকে সম্মান করবে। নারী-পুরুষের যমজ অর্ধাঙ্গিণী। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |