মাস জুড়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বিকেল হলেই মন পড়ে থাকে মেলায়। কিন্তু সংসার আমায় ছুটি দেয় না বলে যাওয়া হয় না। তার উপর অভ্র এবার দশম শ্রেণীতে, ওকে নিয়ে ব্যস্ততা একটু বেশি। এ বছর আমার একটা গল্পের বই বের হয়েছে। বইটির নাম, 'জীবনের টুকরো গল্প'। বইমেলায় স্টলে দাঁড়িয়ে নিজের বইতে অটোগ্রাফ দিতে কার না ভালো লাগে। আমিও অন্যদের থেকে আলাদা নয়। ২০১৫ সাথে প্রথম বই 'মুক্ত আকাশ কতদূর'। বইটা বের হল, আমি মেলায় গেলাম। স্টলের সামনে দিয়ে হেঁটে আসি। স্টলে নিজের বই দেখে আনন্দ পাই। স্টলে থাকা কেউ চিনতে পারেনি আমায়। মেলায় ঘুরছি, হঠাৎ সামনে এক পরিচিত ভাইয়ের সাথে দেখা। দেখেই বললেন,
-আপা আপনার বই নিবো।
-ভাই আমার কাছে তো নেই, স্টলে বই রাখা।
-চলেন স্টলে, অটোগ্রাফ নিয়েই বই নিবো।
গেলাম স্টলে, প্রথম অটোগ্রাফ দিচ্ছি আমি। এক অন্যরকম সুখ অনুভব করলাম। একটা ছবিও তুলেছিলাম সেদিন। মাঝে মাঝেই ছবিখানা দেখি, ভালো লাগে অনেক।
২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় মুক্তিযুদ্ধের বই 'একাত্তর ও নারী', বইটা প্রকাশ করে 'বাঙালি' প্রকাশক। যার কর্ণধার আরিফ নজরুল। কেউ কেউ স্টলে এসে লেখককে খোঁজ করেন, অটোগ্রাফ চান, কিন্তু আমার তো মেলায় যাওয়া হয় না। খুব হলে দুইদিন যাই। প্রথম দিকে একদিন আর শেষ দিকে একদিন। তবে অটোগ্রাফ দিয়ে অনেক বই কুরিয়ারে পাঠিয়েছি। আমার মতো ক্ষুদ্র লেখকের জন্যে এটা অনেক পাওয়া। পাঠক ভক্ত শুভাকাঙ্ক্ষীরা বই নিবেন বলে ঠিকানা দেন, আমি কুরিয়ারে বই পাঠিয়ে দিই আর উনারা বিকাশে বইয়ের সম্মানী দিয়ে দেন।
এ বছর আমার দুটি বই আসার কথা থাকলেও এসেছে একটি বই। জীবন ভিত্তিক কিছু গল্প দিয়ে সাজিয়েছি বইটি। নাম দিয়েছি 'জীবনের টুকরো গল্প'। বইটি সম্পর্কে আমি বলি, জীবনের সব গল্প ডায়রিতে লেখা যায় না, কয়েকটা পেইজ সাদা রাখতেই হয়, নতুবা থেকেই যায়। এই সাদা পেইজগুলোর জন্যেই জীবনের গল্প টুকরো টুকরো হয়ে যায়। সে জন্যেই বইটির নামকরণ করেছি এমন। এই বইটি সহ আমার মোট তেরটি বই প্রকাশ পায়। কোনো বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়নি।
এ বছর মেলার মাঝামাঝি সময়ে বইটি আসে মেলায়। প্রথমদিকে একদিন মেলায় যাই, ২৪ ফেব্রুয়ারি মেলায় গিয়ে কিছু সময় বসি 'বাঙালি' প্রকাশন-এর স্টলে। এই প্রকাশন থেকেই বের হয়েছে 'জীবনের টুকরো গল্প' বইটি। আমি আর স্টলের সেলসম্যান আপুটা গল্প করছি। অপরিচিত তিন পাঠক এলেন, একজন হাতে নিয়ে দেখছেন আমার 'একাত্তর ও নারী' বইটি। আমি চুপে চুপে একটা ছবি তুলি। উনি দেখতে পান না। বইটা দিতে বললেন, বইয়ের সম্মানী বুঝিয়ে যেই বই নিবেন অমনি আপুটা বলেন,
-চাইলে আপনি লেখকের অটোগ্রাফ নিতে পারেন।
-তাই নাকি, নিশ্চয়ই নিবো।
আমি পার্স থেকে কলম বের করে বইতে লিখি, 'দেশটা ছোট হলেও অর্জনগুলো বিশাল, অর্জন করেছে বাবা রক্ষার দায়িত্ব আমার' এরপর নিজের নাম আর স্বাক্ষর দিয়ে দিই।
একটু পর কবি ও গল্পকার হাফিজ রহমান আসেন স্টলে।
-মৌ তোমার নতুন বইটা দাও তো অটোগ্রাফ সহ।
আমি বইটিতে লিখি, 'জীবনে সাদা পেইজ থাকে বলেই জীবনের গল্প ভেঙ্গে যায়, কিন্তু জীবনটা একটাই থাকে।'
নিজের প্রয়োজনীয় কিছু বই সংগ্রহ করি। সন্ধ্যার সাথে সাথে বেরিয়ে যাই অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে। যতটুকু সময় ছিলাম বেশ আনন্দেই ছিলাম। মনে এক ধরনের কিছু দায়িত্ব থেকে সরে ছিলাম। সামনে আরো দুদিন সময় আছে। আশা করি ২৮ ফেব্রুয়ারি আবার যাবো, কিছু সময় কাটিয়ে আসবো অমর একুশে গ্রন্থমেলা দুহাজার কুড়িকে বিদায় দিয়ে। স্মৃতি হয়ে থাকবে আমার অটোগ্রাফ।
ফজর | ৪:৩৪ |
যোহর | ১২:০৩ |
আসর | ৪:৩০ |
মাগরিব | ৬:১৮ |
এশা | ৭:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২-সূরা বাকারা ২৮৬ আয়াত, ৪০ রুকু, মাদানী পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। ৬৬। আমি ইহা তাহাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীগণের শিক্ষা গ্রহণের জন্য দৃষ্টান্ত ও মুত্তাকীদের জন্য উপদেশ স্বরূপ করিয়াছি।
সৌভাগ্য হচ্ছে অজস্র সুষ্ঠু কর্ম সুষমার ফল। _ইমারসন।
যে ব্যক্তি উদর পূর্তি করিয়া আহার করে, বেহেশতের দিকে তাহার জন্য পথ উন্মুক্ত হয় না।
|
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |