হাজার হাজার মণ ইলিশের চাপ সইতে পারছে না ইলিশের নগরী খ্যাত চাঁদপুর মাছ ঘাট। এক সাথে এত ইলিশ ঘাটের আড়তগুলোতে মাছ রাখার জায়গা নেই। সাথে সাথে চালানীর নামে ঘাটে আসা ইলিশ অন্যত্র চলে যাচ্ছে। পিক-আপ-ট্রাকের পাশাপাশি এখন মাছ বহনের জন্যে কাভার্ডভ্যান। কাভার্ডভ্যান ট্রাক-পিকআপে চাঁদপুরের সিংহভাগ মাছ চলে যাচ্ছে আড়তদারদের ফ্যাক্টরীগুলোতে। ফ্যাক্টরী মানে কোল্ড স্টোরেজে। সেখানে ১০/১২ হাজার টাকা থেকে ১৮/২০ হাজার টাকা মণ দরে সাইজের ইলিশ মজুত করে রাখা হচ্ছে বলে একটি সূত্র জানায়। এ কারণে ভরপুর মাছ থাকা সত্ত্বেও সীমিত দামে সাধারণ মানুষ এখনো ইলিশ ক্রয় করে খেতে পারে না। গতকাল শনিবারও আগের দিনের তুলনায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ প্রতি ইলিশের দাম বাড়িয়ে বিক্রি হয়েছে। চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিঃ-এর সভাপতি মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া অবশ্য স্বীকার করেন ফ্যাক্টরীতে মাছ না রাখলে অসময়ে মানুষ ইলিশ খাবে কোথা থেকে।
তিনি দাবি করেন চাঁদপুর থেকে কোনো ইলিশের চালান ভারতে পাচার হয় না। দেশের অভ্যন্তরের মোকামগুলোতে সরবরাহ করা হয়। তিনি আরো জানান, গত কয়েকদিন বৃহত্তর নোয়াখালীর সমূদ্র এলাকা হাতিয়া এবং ভোলার মেঘনা নদীতে ভালোই ইলিশ ধরা পড়েছে। আমাদের লোকালয়ের কিছু মাছ আসছে। সব মিলিয়ে ইলিশের আমদানি গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অনেক বেড়েছে। বেশি মাছের সরবরাহ থাকায় দাম প্রত্যাশা অনুযায়ী কমছে না এমন প্রশ্নের জবাবে কালু ভূইয়া বলেন, প্রতিদিন নারী-পুরুষ অসংখ্য মানুষ ঘাট থেকে মাছ কিনে নিচ্ছে। দাম অনেকটা কম পায় বলে তারা কিনতে পারছে। তিনি দাবি করেন প্রায় ৫শ' মণ ইলিশ ঘাটের লোকজন ছাড়াই সাধারণ মানুষ কিনে নিচ্ছে। এদিকে গতকাল সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় লেবার, চালানী, বেপারী, আড়তদার, সরকার, আড়ত কর্মচারী, পাইকার কারো চোখে ঘুম নেই। খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। কিছু মুখে দিবে সেই সময় পর্যন্ত তারা পাচ্ছে না।
বরফ ভাঙ্গার শো শো শব্দ অনবরত চলছেই। চাঁদপুর রেলওয়ে বড় স্টেশন ও বিআইডাবিস্নউটিসির রকেট অফিস ঘর এলাকাটি চাঁদপুর মাছ ঘাটের দখলে চলে গেছে। ইলিশ লোড আনলোড করার জন্য বড় স্টেশন রেলওয়ে জামে মসজিদ পর্যন্ত পিকআপ-ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের সিরিয়াল। আড়তদারদের মাধ্যমে ককসিটের এবং কাঠের বাঙ্ েপ্যাকিং হচ্ছে হাজার হাজার মণ ইলিশ।
এদিকে ইলিশ চালানীরা জানান, মাছের জন্য প্রয়োজনীয় বরফ পাচ্ছে না তারা। বরফের সঙ্কট চলছে। মৎস্য বণিক সমিতির কর্মকর্তাদেরও একই অভিযোগ। এদিকে ৪শ' টাকার এক ক্যান বরফ এখন ৮/৯শ' টাকা এমনকি হাজার বারো শ' টাকায়ও বিক্রি করছে। এক শ্রেণীর বরফ ব্যবসায়ী মাছ ঘাটে বরফের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে দ্বিগুণ তিনগুণ দামে বিক্রি করছে।
বরফ মিল মালিক সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরে ৭টি বরফকল রয়েছে। এগুলো হচ্ছে আরিফ, যমুনা, পূবালী, বিসমিল্লাহ, ইলমা শাহরীন, জলি ও রিয়াদ। এসব বরফ কলে বরফের কোনো সঙ্কট নেই বলে তারা জানিয়েছে। তাদের ফ্যাক্টরী রেট প্রতি ক্যান বরফের দাম ৪শ' টাকা। অপরদিকে ইলিশের ডিম সংগ্রহ এবং লবণ ইলিশের কাজও শুরু হয়ে গেছে। মালেক খন্দকার, নান্টু, সুমন ও দাদন গং ইলিশের চালান কিনে সেই ইলিশ কেটে প্লাস্টিক কৌটায় ইলিশের ডিম সংগ্রহ করছে সেগুলো বিদেশে পাচারের জন্যে। পাশাপাশি ইলিশ কেটে লবণ ইলিশ মজুত করে রাখা হচ্ছে শুঁটকি ইলিশ বিক্রির জন্যে।
ফজর | ৪:৫৮ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২৫-সূরা ফুরকান যে ব্যক্তি হালাল পথে রুজি করে সে প্রকৃত মুসলমান। বিনয় ও সৌজন্য ঈমানের দুই শাখা এবং বৃথা বাক্যালাপ ও জাঁকজমক কপটতা (মুনাফেকির) দুই শাখা। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |