আমি তখন ক্লাস সিক্সে ছাত্র। সেদিন ছিলো জিলহজ মাসের নয় তারিখ। অর্থাৎ কোরবানি ঈদের আগের দিন। সন্ধ্যায় আকাশের দিকে তাকালাম, দেখলাম চাঁদ উঠেছে। দেখতে অর্ধেকের চেয়ে ছোট। পুরো আকাশ পরিষ্কার, গোধূলীর আবছা আলোয় যেনো এখনো পুরো অন্ধকার হতে পারেনি আকাশ। থেমে আছে গোধূলীর শেষলগ্নের অপেক্ষায়। চাঁদও যেনো তার পুরো জোৎস্না ছড়াতে পারছে না। এমনি দেখতে দেখতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলো। কিছুক্ষণ চাঁদ দেখে ঘরে আসলাম। এসে দেখি, বড় আপু বাড়ির কিছু ছেলে-মেয়ের হাতে মেহেদী দিয়ে দিচ্ছেন। যেহেতু হাতে মেহেদী দেওয়া আমারও খুব পছন্দের, তাই বায়না ধরি মেহেদী দেয়ার। আলতো গলায়, 'ঠিক আছে পরে' বলে আমায় থামিয়ে দিলো আপু।
ঘুমালেই যেনো ঈদ তাড়াতাড়ি আসবে এই ভেবে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গেলাম। যাতে করে দ্রুত ঈদের সকাল দেখতে পাই। কিন্তু হায়! ঘুম তো আসছে না। কখন সকাল হবে এই ভেবে। চোখের পাতা যেনো মিলতে চাইছে না। এমনি করে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতেই পারিনি। যখন ঘুম ভাঙলো তখন নিজেকে আবিষ্কার করলাম মানুষজনের হাঁটাচলার আওয়াজ শুনে। বুঝতে পারলাম ঈদের সকাল এসে গেছে। তাড়াতাড়ি গোসল করে নতুন জামা পরে ঈদগাহে যাওয়ার জন্যে প্রস্তুতি। প্রস্তুত হয়েই সর্বপ্রথম আম্মুকে সালাম ও ঈদের শুভেচ্ছা জানলাম। সালামের জবাব নিয়ে মা সালামি দেন।
ঈদের ময়দানে রওনা হলাম। ময়দানজুড়ে মানুষ আর মানুষ। সবাই খুব আনন্দিত। কিন্তু আমার মন আনন্দ খুঁজে পাচ্ছে না। দেখলাম অনেকেই কোলাকুলি করছে। পেছনে ফিরে দেখি আমার ক্লাসের বন্ধুরা এসে গেছে এ যেনো হারানো বস্তু খুঁজে পাওয়ার আনন্দ।
আমার কাকারা দাদুর বাড়িতে থাকে। আর আমরা সেখান থেকে আধা মাইল দূরে জায়গা কিনে দাদু বাড়ি ছেড়ে চলে আসি। সবাই তৈরি হয়ে দাদু বাড়িতে চলে যাবো এমন সময় মায়ের কড়া কথা, তোর কাকারা সালামি দিয়েছে? সরল মনেই উত্তর দিলাম, হ্যাঁ। মোট কত টাকা পেয়েছিস? আমি পকেট থেকে সব টাকা বের করে মাকে দেখালাম। মাকে দেখাতে না দেখাতেই এক ছোঁবলে সব টাকা নিয়ে নেয় মাত্র ৫০ টাকা বাদে। কেনো নিয়েছো জিজ্ঞেস করতেই উত্তর দিলো_তুই টাকা দিয়ে কি করবি, তোর কাছে থাকলে টাকা হারিয়ে যাবে। আমার কাছে থাকুক পরে নিস। এই বলে পুরো টাকাটা আমার কাছ থেকে নিয়ে নিলো। যদিও পরে দেবে বলেও ওই টাকা আর দেওয়া হয়নি।
দেখতে দেখতেই ডুবে যেতে লাগলো সূর্য। হঠাৎ ভেতরটা হাহাকার করে উঠতে লাগলো সূর্য ডুবে যাচ্ছে তার মানে ঈদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। মন যেনো মেনে নিতে পারছে না এ সত্য। তবুও মানতে বাধ্য। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসি আর দিনের সকল কিছু নিয়ে ভাবতে থাকি। সবগুলোই ঠিক ছিলো শুধু ঠিক ছিলো না দুটো জিনিসের চলে যাওয়া প্রথমটা হলো ছলছল চোখে তাকিয়ে থাকা গরুটা আর দ্বিতীয়টা হলো গোধূলীর রক্তিম সূর্যটা।
ফজর | ৪:৫৮ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
৭২-সূরা জিন্ন্ ২৮ আয়াত, ২ রুকু, মক্কী ২৪। যখন উহারা প্রতিশ্রুত শাস্তি প্রত্যক্ষ করিবে, বুঝিতে পারিবে, কে সাহায্যকারীর দিক দিয়া দুর্বল এবং কে সংখ্যায় স্বল্প। ২৫। বল, 'আমি জানি না তোমাদিগকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে তাহা কি আসন্ন, না আমার প্রতিপালক ইহার জন্য কোন দীর্ঘ মেয়াদ স্থির করিবেন।'
ভিক্ষাবৃত্তি পতিতাবৃত্তির চেয়েও খারাপ। -লেলিন।
দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞানচর্চায় নিজেকে উৎসর্গ করো।
|
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |