শৈশবের ঈদ মানেই জীবনের চলে যাওয়া দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দিন। সেই সময়কার ঈদ আনন্দ এক ভিন্ন মাত্রার রঙ নিয়ে আসতো আমার জীবনে। বড় হওয়ার সাথে সাথে সেই আনন্দগুলো তার সব রঙ হারিয়ে ফিঁকে হতে থাকে। কোথাও সেই শৈশবের ঈদ আনন্দ আর পাই না। আগের খুশিগুলো চারপাশে হাজার খুঁজেও কেনো জানি ব্যর্থ হই।
চাঁদরাতের মধ্য দিয়েই মূলত আমার শৈশবের ঈদ উদ্যাপন শুরু হতো। ঈদের অধিকাংশ মজা যেনো এই চাঁদরাতকে ঘিরে। রাতের পরিষ্কার আকাশে কখন পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা দেবে, সেই চাঁদের জন্য অপেক্ষা। শাওয়ালের চাঁদই যে ঈদের বার্তা বহন করে! আরও ছিলো কে কার আগে সেই চাঁদ দেখেছি তার গৌরব অর্জনের তৃপ্ততা। শুধু কি তা-ই! হাতে মেহেদী দেওয়া ছিলো চাঁদরাতের অন্যতম আকর্ষণ। কার হাতের মেহেদীর ডিজাইন কত সুন্দর হয় তা নিয়ে প্রতিযোগিতা। সারারাত কেটে যেত প্রতিবেশী বন্ধুদের সাথে হাসি-ঠাট্টা আর উল্লাস করতে করতে। সে রাতে ঘুমানো যেনো নিষিদ্ধ। কিন্তু কোনো পরিকল্পনাই তখন কাজে লাগতো না, ভোর হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই ঘুমিয়ে যেতাম।
আবার ভোরের খানিক পরেই ঘুম ভাঙতো। উঠে প্রথমেই হাতগুলোর দিকে নজর যেতো, মেহেদীর রঙ কতটা গাঢ় হলো তা দেখার তীব্র আকাঙ্ক্ষা কাজ করতো মনে। ঈদের দিন সকালে ঘরটা প্রতিদিনের চেয়ে একটু বেশিই সাজানো-গোছানো পেতাম। আম্মু যে খুব যত্ন নিয়ে ঘরটা গোছাতো তা বোঝা যেতো তার সকল আয়োজনেই।
সেদিন গোসল করে পরিপাটি হতে বাকি দিনগুলোর মত দেরি হতো না, নতুন জামা পরার বিশেষ আগ্রহের জন্যেই এমনটা হতো। আর তারপর পরই আম্মুর হাতের সেমাই খেতে খেতে বাবার জন্যে অপেক্ষা। কখন বাবা ঈদের নামায শেষ করে আসবে আর কখন মিলবে সেলামি। প্রতিবছরই বাবার কাছে বায়না থাকতো 'আমি তো একটু বড় হয়েছি টাকা বেশি দিও' আর এ কথা শুনে বাবার হেসে দেওয়া। এসবই এখন স্মৃতির পাতায় আচ্ছাদিত।
ঈদের একটা ব্যাপার আমাকে খুব টানে_নামাজ শেষে সকল মুসলি্লরা যখন একে-অপরের সাথে কোলাকুলি করে সেই দৃশ্য পৃথিবীর সকল মুসলিম ভ্রাতৃত্বের এক বিশাল মেলবন্ধনের প্রতিচ্ছবি আমি মনে করি। যদিও এই অভিজ্ঞতা অর্জনের সৌভাগ্য কখনো হয়ে ওঠেনি।
এখন বেশ বড় হয়ে গেছি। আগের মত ঈদ আনন্দটা এখন আর হৃদয় ছুঁয়ে যায় না। ঈদকে ঘিরে সব আনন্দ, অনুভূতি সব যেনো কোনো শূন্যে মিলিয়ে গেছে। সবকিছুর বিনিময়েও ইচ্ছে করে সেই ছোটবেলার ঈদকে ফিরে পেতে। এখন এর দিনগুলো কেনো হয়না এ রকম? এখন আর হাতে মেহেদী দেওয়ার জন্যেও মনটা নেচে ওঠে না। আর আব্বুর কাছে বেশি টাকা চাওয়ার বায়না করতেও ক্লান্ত লাগে, বড্ড বেমানান মনে হয়। সর্বদা শুধু একটা প্রশ্নই তাড়া করে আমাকে, 'শৈশবের ঈদ আনন্দগুলো কি আবার ফিরতে পারে না আমার জীবনে!'
ফজর | ৫:২২ |
যোহর | ১২:১২ |
আসর | ৪:০৭ |
মাগরিব | ৫:৪৬ |
এশা | ৭:০১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
৭২-সূরা জিন্ন্ ২৮ আয়াত, ২ রুকু, মক্কী ২৪। যখন উহারা প্রতিশ্রুত শাস্তি প্রত্যক্ষ করিবে, বুঝিতে পারিবে, কে সাহায্যকারীর দিক দিয়া দুর্বল এবং কে সংখ্যায় স্বল্প। ২৫। বল, 'আমি জানি না তোমাদিগকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে তাহা কি আসন্ন, না আমার প্রতিপালক ইহার জন্য কোন দীর্ঘ মেয়াদ স্থির করিবেন।'
ভিক্ষাবৃত্তি পতিতাবৃত্তির চেয়েও খারাপ। -লেলিন।
দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞানচর্চায় নিজেকে উৎসর্গ করো।
|
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |