প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পদার্থবিদ্যা বিভাগ থেকে আমরা শিক্ষা সফর করলাম। সবার পূর্বে থেকে পরিকল্পনা ছিলো আমরা এবারের শিক্ষা সফরটা সিলেটে করবো । যে কথা সে কাজ । শিক্ষা সফরের জন্য সিলেটের জাফলং , শাহজালাল, শাহপরান, মাজার শরীফ জিয়ারত , মাধবকুন্ড, শ্রীমঙ্গল স্থান নির্ধারণ করা হলো। সফরের যাএাটা শুরু হলো রাত ১০. ৩০ টায়। আমাদের আনন্দটা শুরু হলো যখন গান বাজতে শুরু করলো এবং গানের তালে তালে আমার সহপাঠী তোফায়েল আহমেদ তুহিন , শীমুল , ছোট ভাইদের মধ্যে সাইফুল্লাহ , রাসেদ মোল্লা, আরোও অনেকে নাচতে শুরু করলো তখন। কিন্তু আমি আনন্দ না দিতে পারলেও মজাটা নিয়েছি। কথায় আছে না আনন্দ না দিতে পারলেও মজা নেওয়াটা উপভোগের বিষয়। আমার বেলায় তাই হয়েছে। যা হোক আমরা সিলেট শহরে পৌছঁলাম সকাল ৮ ঘটিকায়। সিলেট শহরে নাস্তা খাওয়া শেষে জাফলং পৌছানোর আগেই দূর থেকে ভারতকে ঘিরে ধরে রাখা কালো মেঘের মত পাহাড়টা দেখে দু চোখ যেন কিছুতেই সরতে চায় না। এই পাহাড়কে অবলোকন করতে করতে এক সময় জাফলং গিয়ে পৌছঁলাম। জাফলং গিয়ে প্রথমে মনটা খারাপ হয়ে গেল। বন্ধুদের বললাম এটা কি দেখতে আসলাম। শুধু পাথর আর বালুরাশি মিশ্রিত পানি ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। একটু সামনে এগিয়ে দেখতে পেলাম পরিষ্কার পানি। পাথর ঘেঁষা সেই পানি গুলো স্রোতের মত করে বয়ে যাচ্ছে । যেন বসন্তের হাওয়ার মত করে মনটা দোলা দিতে লাগলো । বন্ধু , ছোট ভাইদের সাথে বয়ে যাওয়া পানিতে অনেক সময় ধরে মজা করলাম।
স্রস্টার সৃষ্টির এক অপূর্ব নিদর্শন জাফলং-এর জিরো পয়েন্ট না গেলে বুঝতে পারতাম না! যা হোক, তারপর শাহপরান মাজার শরীফ জিয়ারত করলাম। পরে শাহজালাল মাজার শরীফে গেলাম। সেখানে অপেক্ষামান আমার বড় ভাইয়ের সাথে দেখা করলাম। ভাইকে শিক্ষকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম। ভাইয়ের সাথে বিদায় নিয়ে পাচঁ ভাই হোটেলে খেতে যাই। সেখান থেকে ফিরে হোটেলে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম থেকে ওঠে নাস্তা সেরে মাধবকুেন্ডর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। মাধবকুন্ড পেঁৗছার পর, আমরা জলপ্রপাত এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আপনাদেরকে একটু বলে নেই মাধবকুন্ড জলপ্রপাতটা যে পাহাড় থেকে সৃষ্টি সেই পাহাড়টার নাম হলো পাথুরিয়া পাহাড়। পাথুরিয়া পাহাড়ের কান্নার সেই জল ধারা আমাকে আরও মুগ্ধ করেছে। যখন ঝর্ণার কাছে গেলাম দেখলাম যেন আমরা সবাই চারদিকে পাহাড় ঘেরা গুহার মধ্যে আছি। শুধু উপরে আকাশ চারদিকে পাহাড় ঘেরা। সেখানে অনেক সময় ধরে পাহাড়ের জলধারা দেখার পর শ্রীমঙ্গল এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমাদের ভাগ্য খারাপ ছিলো তাই শ্রীমঙ্গলে যেতে যেতে রাত হয়ে গেল। তাই শ্রীমঙ্গলের চা বাগানের অপরূপ দৃশ্য আমরা দেখতে পেলাম না। মাধবকুন্ড থেকে আসার পথে কিছু চা বাগানের দৃশ্য দেখেছি। তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো। বাস যখন শ্রীমঙ্গল বাজারে থামলো। তখন বাজারে সাত রঙের চা খাওয়ার মজা ছিলো আলাদা। তারপর যে যার মত কেনাকাটা করলো। রাতের খাবার খেয়ে রাত ১০টার দিকে চাঁদপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আর এর সাথে সাথে তিন রাত দুই দিনের একটি সুন্দর সফল শিক্ষা সফর শেষ হলো। এই শিক্ষা সফরে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে তারা হলো আমার সহপাঠী তোফায়েল আহমেদ তুহিন, মাহমুদুল হাসান হীরা, শাহআলম ভাই, এবং বিভিন্ন বর্ষ থেকে ছোট ভাই ও বোনরা। এই শিক্ষা সফরে শিক্ষকরা আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে তাই শিক্ষকদের আমার পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।
মূলত আমি এই শিক্ষা সফর থেকে অনেক কিছু শিখেছি। শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে মজা করা, সবার মাঝে দূরত্ব কমে আসা এবংএকে অপরদের ভালোভাবে বুঝা। শিক্ষা সফরের মাধ্যমে ছাএছাএীদের সাথে শিক্ষকদের ভালো সম্পর্ক ঘরে ওঠে। অবশেষে আমি বলবো পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষা সফরটা সফলভাবে শেষ হয়েছে।
লেখক : শিক্ষার্থী, অর্নাস চর্তুথ বর্ষ, পদার্থবিদ্যা বিভাগ)
ফজর | ৪:৫৮ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২২-সূরা : হাজ্জ আমি আমার নিজের প্রশংসা নিজে করি না বলে লোকে আমাকে সম্মান দেয় বেশি। -ক্যালডিরন। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান চর্চায় নিজেকে উৎসর্গ করো। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |