শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থী রয়েছে। যেমন স্বল্প, মধ্যম ও উচ্চ মেধা সম্পন্ন প্রতিভাবান শিক্ষার্থী। শিক্ষককে শিক্ষার্থীর প্রতিভা অনুযায়ী যদি মূল্যায়ন না করেন তাহলে কোনো শিক্ষার্থীর প্রতিভা বিকশিত করা সম্ভব নয়। তাতে করে শিক্ষার্থীর প্রতিভা ক্রমান্বয়ে ম্রীয়মান হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। আদর্শ শিক্ষক হিসেবে প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য শিক্ষকের কিছু গুণাবলী আবশ্যক। যে গুণাবলী সমূহ একজন আদর্শ শিক্ষকের অবশ্যই থাকে। প্রথমে শিক্ষককে পেশাদারি মনোভাব এবং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ যথাযথ থাকতে হবে। একজন আদর্শ শিক্ষকের শিক্ষা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বই, শিক্ষালয়, গবেষণা ও বহির্বিশ্ব সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান ও এর জ্ঞানের প্রতি অতি আগ্রহ থাকতে হবে। তাহলেই আদর্শ শিক্ষক হিসেবে একজন প্রতিভাবান শিক্ষার্থীর মূল্যায়ণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকের সম্পর্ক কেমন হবে? এমন প্রশ্ন যদি কেউ করে, তাহলে তার সঠিক জবাব হবে 'বন্ধুসুলভ'। শিক্ষক শিক্ষার্থীর আচরণ যদি বন্ধুসুলভ না হয় তাহলে তাদের যোগাযোগ ও পাঠের মধ্যে একটি বড় ব্যবধান এসে যায়। যে ব্যবধানের কারণে শিক্ষক যেমন শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে শিক্ষাদান করতে পারেন না তেমনই শিক্ষার্থীও ভালভাবে সেই শিক্ষকের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। তাই একজন আদর্শ শিক্ষকের প্রথম শর্ত হলো শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও আচরণ, যা এক অপরকে বুঝতে সহায়তা করবে। শিক্ষার্থীর মনযোগ আকর্ষিত হয় এমন কিছু কাজ শ্রেণীকক্ষে করা উচিত। যেমন_ গল্প বলা, কুইজ প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। এতে করে শিক্ষার্থীরা ঐ শিক্ষকের প্রতি আকৃষ্ট ও কথা শুনতে আগ্রহী হয়ে উঠে। সেখান থেকেই প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার কৌশল সমূহ প্রয়োগ করা যায়। শিক্ষার উপকরণ হিসেবে বিভিন্ন রং বেরং-এর পোস্টার ব্যবহার করা, প্রায়োগিক কোনো বস্তু উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা এবং সর্বশেষ আইসিটি ব্যবহার করতে পারলে একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের যথাযথ শিক্ষা ও মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে। কোনো ভাল কাজ এবং ভাল ফলাফলের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করা। তবে এর বিপরীত কাজের জন্য যেন কোনো রকম তিরস্কার বা শাস্তি প্রদান করা যাবে না। তাতে করে প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর পুরস্কারের ব্যবস্থা করলে প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও শিখনের প্রতি তার আগ্রহ আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়। শিক্ষার্থীদেরকে মূল্যায়নের জন্য অনেকগুলো ধাপ রয়েছে। শ্রেণী কক্ষে পাঠদানের সময় থেকেই শিক্ষার্থী মূল্যয়ন আরম্ভ করতে হয়। প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদেরকে যথাযথভাবে প্রতিটি ধাপে মূল্যায়ণ করা না গেলে তাদের প্রতিভার বিকাশ সুন্দরভাবে সম্ভব নয়। যেমন_ বিদ্যালয়ভিত্তিক মূল্যায়ন (এসবিএ) শ্রেণীকক্ষে করতে হয় এবং শিক্ষার্থীদের যথাযথ উপস্থিতি, নিয়মিত শ্রেণীর কাজ করা, শ্রেণী অভীক্ষায় অংশগ্রহণ করা, একক অর্পিত কাজ, দলগত অর্পিত কাজ ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে। প্রতিটি অভীক্ষা যদি শিক্ষার্থীকে শ্রেণীকক্ষে সঠিকভাবে মূল্যয়ন করে তাহলে প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদেরকে আদর্শ শিক্ষক হিসেবে যথাযথ মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে।
পরিশেষে, শিক্ষককে শিক্ষার্থীর প্রতিভা অনুযায়ী যদি মূল্যয়ন না করেন তাহলে কোনো শিক্ষার্থীর প্রতিভা বিকশিত করা সম্ভব নয়। তাতে করে শিক্ষার্থীর প্রতিভা ক্রমান্বয়ে ম্রীয়মান হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। আদর্শ শিক্ষক হিসেবে প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য শিক্ষকের কিছু গুণাবলী আবশ্যক। যে গুণাবলী সমূহ একজন আদর্শ শিক্ষকের অবশ্যই থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যথাযথ সাপোর্ট ও আদর্শ শিক্ষকের শিক্ষার্থী মূল্যায়ণের জন্য আন্তরিকতাই প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা সঠিক মূল্যায়িত হতে পারে। তাই প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ণের জন্য একজন আদর্শ শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম।একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার জন্য কিছু গুণাবলী থাকা আবশ্যক। যে গুণাবলী না থাকলে কোনো শিক্ষার্থীকে শিক্ষক হিসেবে যথাযথ শিক্ষা প্রদান করা অত্যন্ত কঠিন সাধ্য ব্যাপার। (অনুলিখিত)
ফজর | ৫:২২ |
যোহর | ১২:১২ |
আসর | ৪:০৭ |
মাগরিব | ৫:৪৬ |
এশা | ৭:০১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২২-সূরা : হাজ্জ আমি আমার নিজের প্রশংসা নিজে করি না বলে লোকে আমাকে সম্মান দেয় বেশি। -ক্যালডিরন। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান চর্চায় নিজেকে উৎসর্গ করো। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |