পবিত্র ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদে চাঁদপুরের হাটগুলোতে থাকছে পর্যাপ্ত দেশি গরু। এ বছর জেলায় ১ লাখের উপরে গরুর চাহিদা রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় খামারীদের থাকছে ৫০ হাজারেরও বেশি দেশি গরু। আর বাকিগুলো পার্শ্ববর্তী জেলা শরিয়তপুর ও মাদারীপুর থেকে আসে। জেলার চাহিদা অনুযায়ী কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর ঘাটতি হবে না বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
চাঁদপুরে ৮ উপজেলায় ৮৬ ইউনিয়নে এবং ৭ পৌরসভার পশুর হাটগুলোতে থাকছে মেডিকেল টিম। এ বছর কোরবানির হাটে পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত ১টি করে মেডিকেল টিম থাকবে। বড় হাটগুলোতে টিমে একজন ভেটেরিনারি সার্জন, একজন টেকনিক্যাল কর্মী (ভিএফএ/ইউএলএ) থাকবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জেলার বিভিন্ন খামারীরা জানান, আমরা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের ডাক্তারদের পরামর্শে গরু মোটাতাজাকরণ করেছি। আমরা আশা করি ভারতীয় গরু যদি দেশে না আসে তাহলে আমরা ভালো দাম পাবো। আমাদের দেশে একজনের ঘরে খাবার না থাকলে অন্য ঘরে খাবার পাওয়া যায়। কিন্তু গরুর খাদ্য না থাকলে কিন্তু অন্য ঘরে পাওয়া যায় না। অনেক কষ্ট করে গরুগুলো পালন করছি কোরবানি ঈদে ভালো দামে বিক্রির আশায়। তারপরও যদি আবার বাইরের গরু দিয়ে হাট ভর্তি হয়ে যায়, তাহলে আমাদের কষ্টের দাম থাকবে না। সরকার ইচ্ছা করলে ভারতের গরু আনা বন্ধ করতে পারেন। আমাদের লোকসান হলে ভবিষ্যতে কিভাবে গরু পালন করবো। এভাবেই কথাগুলো বললেন রাজরাজেশ্বরের বিল্লাল মাঝি, হানারচরের শাহ আলম সরকার, রহিম মাঝি, লক্ষ্মীপুরের মোতালেব ও সফরমালীর খামারী হাবিব।
আলম ও সেলিম জানান, ইতিমধ্যে হাটগুলোতে গরু আসতে শুরু করেছে। তবে দেশি গরুর দাম বেশি হওয়ায় খামারিরা এবার লাভের আশা করছেন। গত বছর জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গরু প্রবেশ করলেও এবার চিত্র ভিন্ন। বাড়ি ও খামারে পালন করা গরু যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে প্রতিটি হাটে।
বাকিলার গরু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, হাটে দেশি গরু তুলতে পারলেই বিক্রি নিয়ে আর কোনো ভাবনা থাকে না। কেননা চাঁদপুরের হাটগুলোতে বরাবরই দেশি গরুর চাহিদা থাকে। জেলার সর্ববৃহৎ গরুর হাট হিসেবে পরিচিত সফরমালী ও বাকিলা বাজার।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাটগুলোতে দেদারচে গরু বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। ঈদের ১০ দিন আগ থেকে এ হাটগুলো জমতে থাকে। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে পাইকার ও বেপারীরা এসব হাটে এসে গরু কিনে নিয়ে যায়।
কচুয়া রাহিমানগরের গরু ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন জানান, চলতি সপ্তাহে হাটগুলোতে দেশি গরুর চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের চোখে মুখে ভেসে উঠেছে লাভের আশা। তিনি আরো জানান, এ বছর ভারত থেকে কম সংখ্যক গরু আসায় দেশি জাতের গরুর চাহিদা বেড়ে গেছে। হাটগুলোতে বড় সাইজের গরু ৮৫-৯৫ হাজার, মাঝারি ৭০-৮০ হাজার, ছোট ৪৫-৫৫ হাজার এবং ছাগল ৭-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।
চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবদুল মোতালেব বলেন, চাঁদপুরের খামারীরা স্বাস্থ্য সম্মতভাবে গবাদি পশু লালন-পালন করছেন। প্রাণি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ঔষুধের বিক্রয় ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে মানুষকে সচেতন করতে জেলার সর্বত্র কঠোরভাবে প্রশাসনও মনিটরিং করছে। এ বছর জেলায় স্টেরয়েডসহ ক্ষতিকারক এবং রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়া মানুষ এখন সচেতন। আমরা খামারীদের পশু হৃষ্টপুষ্ট করতে সঠিক তদারকি ও পরামর্শ অব্যাহত রেখেছি। প্রতি বছরের মতো এ বছর আমাদের মেডিকেল টিম পশুর হাটগুলোতে কাজ করবে। কোনো খামারী যেনো কোনো ধরনের অসুস্থ গরু বিক্রি করতে না পারে সে জন্যে আমাদের এ টিম কাজ করবে।
ফজর | ৪:৫৯ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
৪০-সূরা আল মু’মিন
যে দীর্ঘ সময় ঘুমাতে পারে, সেই সবচেয়ে সুখী।
পরিচ্ছন্নতার উপর ইসলামের ভিত্তি স্থাপিত হইয়াছে। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |