সারাদেশের প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদপুরেও রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দুই শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। ২ অাগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে শিক্ষার্থীদের এই অান্দোলন শুরু হয়।প্রায় ৮টি কলেজের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে এই অান্দোলনে অংশ নেয় বলে জানা যায়।
পরে অান্দোলনরত ছাত্ররা শহরের কালীবাড়ী মোড়,শপথ চত্ত্বর,সায়াবানী,কলেজ গেইট,বাসট্যান্ড,জজ কোর্ট এর মত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে অবস্তান নেয়।এ সময় অান্দোলনরত ছাত্রদের একটি অংশ কয়েকটি অটোরিক্সা,বাস,পিকাপভ্যান,সিএনজির উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।এতে কয়েকজন শিক্ষার্থীও বেশ অাহত হয়।এ সময় তারা অান্দোলনরত স্তানের পথ অবরোধ করে প্রায় ২ ঘন্টা যাবৎ চাঁদপুর কুমিল্লা অাঞ্চলিক মহাসড়কে তিব্র যানজট সৃষ্টি করে।পরিস্থিতী মোকাবেলায় প্রথম থেকেই চাঁদপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান,চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালি উল্লাহ ও তাঁদের সঙ্গীয় ফোর্স এবং ছাত্রলীগ নতাকর্মীরাসহ বিক্ষুব্দ ছাত্রদের কোন রকম অাঘাত ছাড়াই কথা বলে বুজিয়ে শান্ত করে ও ছত্রভঙ্গ করে দেয়।অান্দলনে পুলিশ ছাত্রদের ওপর কোনরূপ হামলা না চালানোও এসময় শিক্ষার্থীরা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারকে গোলাপ ফুলের শুভেচ্ছা জানান।পরে তারা তাদের অান্দোলনের ১১ দাবির কথা পুলিশ সুপার ও ছাত্রলীগ নেতাদের শুনান।
ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার শিক্ষার্থীদের জানান, তোমাদের দাবির যুক্তিকতা নিয়ে অালোচনা হবে।তোমরা সাধারন মানুষের যানমালের কোন ক্ষতি করোনা।এই যে তোমরা কয়েকজন গাড়ী ভাংতে গিয়ে অাহত হচ্ছো।এতে নিজের ও অন্যের উভয়েরই ক্ষতি করছো।যাদের গাড়ী ভাংছো তারাওত গরিব অসহায়।এই গাড়ীই তাদের রুটি রুজির একমাত্র মাধ্যম।তাদেরও সংসারে তোমাদের মত ছেলে মেয়ে অাছে।তোমাদের উপস্থিতিতে অাজ বিকাল ৪ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাঁদপুরের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বসে এই সমস্যা সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করবো।তোমরা যারা এই অান্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছো তারা সেখানে অবশ্যই উপস্তিত থাকবে।
পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশ ও ছাত্রলীগ নেতাদের উপর অাস্থা রেখে অান্দোলনরত ছাত্ররা অবরুদ্ধ সড়ক পথ গাড়ী চলাচলে উন্মুক্ত করে দেন।
কয়েকজন অান্দোলত শিক্ষার্থীকে কিভাবে তারা একত্রিত হলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তারা এ জানায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের যোগাযোগ হয়েছে। সেখানেই তাঁদের অান্দোলনে একত্রিত হওয়ার স্থান,স্লোগান ও ফেস্টুনে লেখা হবে তা নির্ধারন করে সবাইকে জানানো হয়েছে। সবাইকে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পোশাক পড়ে অাসতে বলা হয়েছে।
কারা তোমাদের অান্দোলনের নেতা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে শিক্ষার্থীরা জানায়, অামাদের কোন নেতা নেই। অামরা নিরাপদ সড়ক চাই। ফিটনেসহীন,লাইসেন্সবিহীন চালক ও গাড়ী সড়কে অার দেখতে চাই না।কারা এই লাইসেন্সবীহিন গাড়ী রাস্তায় চলাচলের সুযোগ দিচ্ছে সেই সব দোষীদেরও কঠিন শাস্তি চাই। অামরা অামাদের ভাই বোনের মৃত্যুর বেদনা জানাতে রাজপথে নেমে এসেছি।অার কোন ভাই যেন সড়কে প্রান না হারায় এই দাবি জানাতে একত্রিত হয়েছি। শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের অারো জানায়, অাজ ১১ দফা দাবি পূরনে বাইতুল রেলওয়ে জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে সব ছাত্র একত্রিত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বাসট্যান্ড পর্যন্ত তাদের সড়ক পথ অবরোধ করার কর্মসূচী ছিলো।