টবে শুধু ফুল ফল নয়, চাষ করতে পারেন শাক-সবজিও। সঠিক উপায়ে টবে শাক-সবজি চাষ করে টাটকা শাক-সবজি যেমন পাওয়া যায় তেমনি পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা যায়। খুব অল্প পরিশ্রমে চাইলেই আপনি বাড়ির ছাদে, বারান্দায় কিংবা কার্নিশে আপনার পছন্দমত শাক-সবজির আবাদ করতে পারবেন। কিন্তু সবজির ভালো ফলনের জন্যে দরকার সঠিক ব্যবস্থাপনা। সঠিক পদ্ধতিতে চাষ ও পরিচর্যা করলে অল্প পরিসরেও ভালো ফলন পাওয়া যায়।
যেসব সবজি সংখ্যায় কম লাগে এবং একবার লাগিয়ে ক্রমাগত অনেকদিন ধরে খাওয়া যায় সেই সমস্ত সবজির আবাদ করলে ভালো হয়। টবে আবাদযোগ্য সবজির মধ্যে টমেটো, বেগুন, মরিচ, শসা, ঝিংগা, মিষ্টি কুমড়া, মটরশুটি, কলমি, কলমি শাক, লাউ, পুঁইশাক, লেটুস, ধনেপাতা, পুদিনা, থানকুনি, তুলসী, ব্রোকলী ইত্যাদি টবে ফলানো যেতে পারে।
গাছের আকার ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিভিন্ন সাইজের টব ব্যবহার করতে হবে। টবের নিচে ছিদ্রগুলোর উপর ইটের টুকরো বা মাটির চারা বসানোর পর টবের তলায় প্রথম ১ ইঞ্চি ইটের সুরকি বা খোয়া, তার উপরে ১ ইঞ্চি পচা গোবর সার দিতে হবে, যাতে সহজেই অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যেতে পারে। টবে গাছ লাগানোর আগে ২ ভাগ দো-অাঁশ মাটি ও ১ ভাগ পচা গোবর সার এবং এর সঙ্গে ১০০ গ্রাম টিএসপি ও ৫০ গ্রাম এমওপি সার ভালভাবে মিশিয়ে টব ভর্তি করে ১০ থেকে ১২ দিন রেখে দিতে হবে। তবে গাছের ধরণ ও টবের আকার-আকৃতির উপর ভিত্তি করে সারের পরিমাণ কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। টবে মাটি ভরাট করার সময় টবের উপর দিক থেকে ১ ইঞ্চি খালি রাখতে হবে। নার্সারি থেকে উন্নত মানের চারা কিনে টবে লাগাতে পারেন কিংবা ভালো মানের বীজ কিনেও আপনি চারা তৈরি করে টবে লাগাতে পারেন।
শুধু টব নয়, চাইলে ঘরের অব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের পাত্র ও সরঞ্জামাদি ব্যবহার করেও তাতে সবজির গাছ লাগিয়ে খরচ কমিয়ে আনা যায়। সেইক্ষেত্রে টবের মতোই নিয়ম মেনে মাটি ভরে গাছ লাগাতে হবে। আর অবশ্যই পাত্রের নিচের দিকে ছিদ্র থাকতে হবে, যেন অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যাবার সুযোগ থাকে।
আপনার যদি যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা থাকে, তাহলে ছাদে বীজতলা তৈরি করেও সবজির চাষ করতে পারেন। জায়গা বেশি থাকলে নানা ধরনের গাছ লাগিয়ে বেশি ফলন পেতে পারেন। শাক-সবজির বীজতলার জন্য মাটি হতে হবে ঝুরঝুরে। হালকা অথচ পানি ধরে রাখার ক্ষমতা সম্পন্ন মাটি চালুনি দিয়ে চেলে জীবাণুমুক্ত করে নেয়া উত্তম। দুই ভাগ বেলে-দোঅাঁশ বা দোঅাঁশ মাটির সঙ্গে দুই ভাগ পাতাসার মিশিয়ে বীজতলার মাটি তৈরি করে নিলে হয়। মাটি যদি এঁটেল হয় তাহলে বীজের অঙ্কুরোদগমের সুবিধার জন্য একভাগ বালি মিশিয়ে হালকা করে নিতে হবে।
টবের মাটিতে বীজ বপনের আগে বিভিন্ন প্রকার আগাছা জন্মাতে পারে। আগাছাগুলো নিড়ানি দিয়ে খুঁচিয়ে তুলে ফেলে দিতে হবে। টবে চারা জন্মালে চারার গোড়ায় যেন আঘাত না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, শাক-সবজির টবগুলো অবশ্যই আলো-বাতাস পায় এমন জায়গায় রাখা দরকার। কিছুদিন পর পর গাছের গোড়ার মাটি নিড়ানি দিয়ে খুঁচিয়ে ঝুরঝুরে করে দিলে ভালো হয়। অনেক শাক-সবজির চারা বিভিন্ন প্রকার পাখি, পিঁপড়া, মাকড়শা ইত্যাদি নষ্ট করে। হেপ্টাক্লোর ৪০ পরিমাণ মতো দিয়ে যাবতীয় পিঁপড়া ও মাকড়শা নিবারণ করা যায়। অতিরিক্ত ঝড় বৃষ্টি, রোদ বা তাপ থেকে রক্ষা করার জন্য সাময়িকভাবে টব নিরাপদ স্থানে রাখা যেতে পারে।
সবজি বেশি দিন গাছে না রেখে বেশি পোক্ত না করে নরম থাকতেই তুলে খাওয়া ভালো, তাতে এক দিকে যেমন নরম খাওয়া যায় অপর দিকে গাছে আরো বেশি ফলনে সাহায্য করা হয়। মোচড়ে বা থেতলে সবজি সংগ্রহ করা উচিত নয়। সবজি তোলার জন্যে কাঁচি দিয়ে কেটে তুললে ভালো হয়।
ফজর | ৪:৫৯ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৫ |
মাগরিব | ৫:১৪ |
এশা | ৬:৩০ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
চোখকে দেহের আলো বলা যায়।
পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |