গণি মিয়া একজন কৃষক। নিজের জমি নেই অন্যের জমি চাষ করেন। তেমনই একজন উৎসাহী কৃষি বান্ধব বিধু ভূষণ গাঙ্গুলী। নিজের জমি বা বাড়ি না থাকলেও ভাড়া বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন পশু-পাখি, হাঁস-মুরগির খামার। তার নিজ হাতে গড়ে তোলা খামারে চাষ হচ্ছে হাঁস-মুরগি, কবুতর, কোয়েল পাখি।
আর বাড়ির আঙ্গিনায় লাগিয়েছেন পেঁপে, পুই শাঁক, লাউ, কুমড়া, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন জাতের শাক সবজি। দেখলে মনে হয় সৌখিন খামারী। আগ্রহ আছে কিন্তু জমি নেই। তেমনই একজন সৌখিন খামারী বিধু ভূষণ গাঙ্গুলীর সাথে কথা হয় আমাদের চাঁদপুর কণ্ঠের চীফ রিপোর্টার বিমল চৌধুরীর সাথে। তিনি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত একটি বাড়ি একটি খামারের শ্লোগানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে গত বছর প্রথম কয়েকটি মুরগির বাচ্চা পালন করেন। পরবর্তী সময় হাঁস, কবুতর ও কোয়েল পাখি পালন শুরু করেন। অতি যত্ন সহকারে শিল্পি গাঙ্গুলীসহ স্বামী স্ত্রী ২ জনে মিলে এই খামার গড়ে তুলেন। তাদের খামারে উৎপাদিত ডিম ও শাক সবজি দিয়ে নিজের পরিবারে আমিষের চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে স্বল্প পর্যায়ে তা বাজারজাত করছেন বলেও তিনি জানান।
বিধু গাঙ্গুলী চাঁদপুর শহরস্থ ৯নং ওয়ার্ডের আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়কের জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারীর বাসভবনের উল্টোদিকে কামাল আহম্মেদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। চারিদিকে প্রাচীর ঘেরা এ বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন তার প্রিয় খামার। চাষ করেন নানান জাতের শাক সবজি।
প্রথম জীবনে তিনি প্রাইভেট ফার্মে চাকুরি করলেও ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন স্বাধীনতার জন্যে ডাক দেন তখন তাঁর সেই মহান আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভারতের আগরতলা ছুটে যান। সেখানে অবস্থানকালে বিভিন্ন ক্যাম্পে ট্রেনিং নেন যুদ্ধ করার জন্যে। গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে দেশে ফিরে এসে সিও মুক্তিফৌজ কমান্ডার জহুরুল হক পাঠানের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য আজও মিলে নি তার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি। পায়নি মুুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতা। মুুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন প্রায় ৮০ বছরের অধিকারী বিধু ভুষণ গাঙ্গুলী। আশায় বুক বেঁধে আছেন একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে হয়তো জীবনের শেষ সময় হলেও তার মর্যাদা মিলবে। তার সেই ইচ্ছা জীবদ্দশায় পূরণ হবে কিনা তা হয়তো সময়ই বলেই দিবে। বিধু গাঙ্গুলীর সামাজিকভাবেও রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় বৃহৎ মার্কেট রেলওয়ে হকার্স মার্কেট। স্বাধীনতাকালীন সময়ে সর্বস্ব হারিয়ে বেঁচে থাকার লক্ষ্যে পরবর্তী সময় চাঁদপুর-কুমিল্লা রোডে হকারি শুরু করেন। আর হকারি থেকেই হকারের স্বার্থে আন্দোলন সংগ্রাম করে চাঁদপুর রেলওয়ে হকার্স মার্কেট গড়ে তুলেন। তার মূল লক্ষ্য ছিলো ফুটপাতে থাকা হকারদের জন্যে নিরাপদ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। আজও হকার্স মার্কেটের সামনে থাকা স্মৃতি ফলকে জ্বল জ্বল করছে হকার্স মার্কেটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে বিধু ভূষণ গাঙ্গুলীর নাম। হকার্স মার্কেটের অনেক হকারের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটলেও ভাগ্যের পরিবর্তন ঘাটেনি বিধু গাঙ্গুলীর।
অনেক সরকারি সংস্থার কাছে বহু ঘোরাঘুরি করেও মিলেনি একখ- লীজের জমি। সহায় সম্বলহীন বিধু গাঙ্গুলীর ইচ্ছা সরকারের পরিত্যক্ত এক টুকরো খাস জমি পেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি বাড়ি একটি খামার কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করতে পারতেন।
আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলেও ব্যক্তিগত জীবনে বিধু গাঙ্গুলী একজন সফল পিতা। তিনি খেয়ে না খেয়ে পাঁচটি মেয়ে সন্তানকেই শিক্ষিত করেছেন। তার কোনো ছেলে না থাকায় মেয়েদের উপার্জনেই চলছে তার জীবন জীবিকা। তার জীবনের শেষ ইচ্ছা তার জীবদ্দশায় তিনি যেনো মুক্তিযোদ্ধার প্রাপ্য সম্মানটুকু পেতে পারেন। এজন্যে সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
ফজর | ৪:৫৯ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২৫-সূরা ফুরকান সুন্দর জিনিস চিরকালের আনন্দ। নামাজে তোমাদের কাতার সোজা কর, নচেৎ আল্লাহ তোমাদের অন্তরে মতভেদ ঢালিয়া দিবেন। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |