চাঁদপুর জেলার চলতি রবি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। মাঠে-ময়দানে এখন হলুদ রঙ্গের সরিষা ফুলের চোখ ধাঁধাঁনো বর্ণালী সমারোহ। মৌমাছির গুনগুন শব্দে ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহের দৃশ্যই সত্যিই যেনো মনোমুগ্ধ এক মুহূর্ত। গত বন্যার কারণে এই জেলার রোপা-আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হলেও দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কৃষকরা মাঠে মাঠে রবি শস্যের আগাম চাষ করেছে। সরকার যথাসময়ে কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ, সার ও বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করায় এলাকার অসহায় কৃষকদের পক্ষে আগাম জাতের সরিষা বপন করা সম্ভব হয়েছে। চলতি বছর রবি মৌসুমে কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দেয়ায় এবং সরিষা চাষের পরিবেশ অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রামীণ জনপদের কৃষকরা এই সরিষা যথাসময়ে ঘরে তুলতে পারলে এবং বিক্রয়মূল্য ভালো পেলে কৃষকরা লাভবান হবে। সরিষার পাশাপাশি রোপা-আমন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ইরি-বোরো ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
শুরুতে সরিষা ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের আনাগোনা দেখা দিলেও মাঠ পর্যায়ে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ কারিগরি সহযোগিতার কারণে সরিষা ক্ষেত অনেকটা রোগ-বালাই মুক্ত রয়েছে। যথাসময়ে সরকারি পর্যায়ে থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে মানসম্পন্ন সরিষা বীজসহ অন্যান্য উপকরণ বিনামূল্যে কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হলেও বেশ কিছু জমি চাষের উপযোগী না হওয়ায় ঠিক সময়ে সরিষা বপন করতে পারেনি অনেক কৃষক। ফলে তারা অন্যান্য রবি শস্য চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। ইরি-বোরো ধান উৎপাদনের প্রসুত্মতি হিসেবে প্রান্তিক চাষীরা কিছুটা বাধ্য হয়েই অন্যের জমি বর্গা নিয়ে সরিষা, আলু, গম ও ভুট্টার চাষে অতি আগ্রহী হয়ে উঠেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চাঁদপুরে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় চলতি বছরে ৮ উপজেলায় ৩ হাজার ৩শ' ৪০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। জেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ফলন বেশি হয়। মৌমাছি সরিষা গাছের ফুলে পরাগায়ন ঘটায় তার দানা বেশি হয় ও ভালো ফলন হয়। যে ক্ষেতে মৌমাছি নেই সেখানে সরিষার ফলন কম হয়।
ওই কর্মকর্তা জানান, সরিষা ক্ষেতে মধুর খামার গড়ে তোলার প্রচলন আগে ছিল না। এ বছর আমাদের ডিডি মহোদয়ের নির্দেশে সারা দেশে সরিষা ক্ষেতের পাশে বাণিজ্যিকভাবে চলছে মৌমাছির মধু চাষ। আমাদের চাঁদপুরে এখনো এই কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করতে পারিনি। কেবল মতলব দক্ষিণ উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়েছে।
চাঁদপুরে বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে মতলব উত্তর, ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ ও কচুয়ায়। মতলব উত্তর লবাইরকান্দির কৃষক তাজুল ইসলাম জানান, মূলত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অভাবে মধুর খামার করা হয়নি এসব এলাকায়। তাছাড়া মধু চাষ যে ব্যাপক লাভজনক হয় এটা আমাদের নেই। এ বছর আমাদের এলাকায় অন্য বছরের তুলনায় সরিষার চাষ বেশি হয়েছে।
মতলব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, আগামীতে প্রতিটি গ্রামে মধু চাষের জন্যে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নেবো। আসলে ফুলের ওপর নির্ভর করে মধুর ভিন্নতা। সরিষার ফুল থেকে যে মধু পাওয়া যায় তা খাঁটি মধু। তবে সরিষা ক্ষেতে খামার গড়ে তোলার জন্যে কৃষকদেরকে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।
ফজর | ৪:৫৯ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২১-সূরা : আম্বিয়া যে ঋণী সে কৃতজ্ঞ নহে। পবিত্র হওয়াই ধর্মের অর্থ। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |