পরিশ্রম একজন মানুষকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা এনে দেয়। প্ররিশ্রমী ও আত্মপ্রত্যয়ী মানুষদের একজন মোঃ আনোয়ার হোসেন ভঁূইয়া । কৃষি বনায়ন ও পশু-পাখি পালন তার নেশা। চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার
নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাড়ৈগাঁও গ্রামের মরহুম মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়ার ২য় পুত্র আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। তিনি একজন ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন চাকুরি করার পর বর্তমানে ঢাকা এবং নারায়ণপুরে নিজ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তাই তিনি নিজ এলাকায় প্রায় ৮ একর জায়গা জুড়ে পরিকল্পিত কৃষি বনায়ন ও পশু পাখি পালন করে আসছেন। বিশেষ করে তার এই বিশাল বাড়িতে দৃষ্টিনন্দিত হয়েছে কবুতর পালনের দৃশ্য। যা ঐ এলাকায় ভূঁইয়া হোয়াইট হাউজ কবুতরের বসত বাড়ি নামের পরিচিত।
নারায়ণপুর কলেজ রোডের পাশে তার ২টি বাড়ি-একটি ভূঁইয়া হোয়াইট হাউজ (৫ তলা) ও অপরটি গ্রীন হাউজ নামে নামকরণ করা হয়েছে। বাড়ি ২টির নামের সাথে কাজের মিল রয়েছে। হোয়াইট হাউজে সাদা কবুতর প্রায় দু হাজার। আর অপরদিকে গ্রীন হাউজে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন রকমের ফল ও সবজির গাছ। মোঃ আনোয়ার হোসেন ভঁূইয়ার স্ত্রী সেলিনা আনোয়ারের তত্ত্বাবধানে এসব দেখাশোনা করেন ম্যানেজার প্রদীপ ধর ও বালাই। তার ৪ কন্যা সন্তান মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূইয়ার ১৫ শতক জায়গা জুড়ে ভূঁইয়া হোয়াইট হাউজের ৫ তলা বিশাল ভবন। এ ভবনের ছাদের উপর পালন করছেন বিভিন্ন জাতের কবুতর। কবুতরের জাতের মধ্যে কিং, রেইছার, সিরাজী, ময়ূর পঙ্খী, ফুটবল, বোম্বাই ও ডাডগা। গ্রীন হাউজে শোভা পেয়েছে আম, লিচু, বড়ই, কমলা, কামরাঙ্গা, পেয়ারা, কলা, আঙ্গুর, পেঁপে, খেজুর গাছ, ম-ল গাছ। ফুলের মধ্যে গোলাপ, টগর, গাদা, জবা, চামেলী, কলা পাতা, মেহেদী গাছ ও অর্কিট ফুল। সবজি বাগানের মধ্যে লাল শাক, লাউ, কুমড়া, ছিম ও কচু ইত্যাদি নিয়ে গ্রীন হাউজের বাড়ি সাজানো হয়েছে। যেনো স্থানীয় ও বিদেশী ফল এ দেশের উষ্ণ-অউষ্ণ জলবায়ুতে জন্মে বলে স্বাদে, গন্ধে, আকারে ও ফলনে নানা বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়া তিনি এ বাড়িতে মৎস্য চাষ করছেন। চাষ করেছেন কৈ, তেলাপিয়া, শিং ও মাগুর মাছ। আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া একজন পরিশ্রমী মানুষ। তিনি নারায়ণপুরের নিজ গ্রামে নানা রকমের ফল, সবজি, পশু-পাখি পালন করে নিজ পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে চলছেন এবং অন্যদেরও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তার বিভিন্ন ভাবনা স্বপ্ন, প্রত্যাশা নিয়ে তার সাথে কথা বলেন কৃষি কণ্ঠের বিভাগীয় সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুর রহমান গাজী। সাক্ষাৎকারটি আজ প্রকাশিত হলো।
কৃষিকণ্ঠ : কেমন আছেন ?
আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া : আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি।
কৃষিকণ্ঠ : আপনার নিজ এলাকায় এত বড় বাড়ি করেছেন তা সর্ম্পকে বলুন ?
আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া : আসলে নারায়ণপুরে আমাদের বিশাল বাড়ি। আমার বাবা এ ইউনিয়েনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। আমি এখানে থেকেই পড়াশোনা করেছি এবং ছোট থেকে বড় হয়েছি। মাটি ও মানুষের ভালোবাসাই আমি নিজ এলাকায় এ বিশাল বাড়ি করেছি। এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবাসে। আমিও তাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকতে চাই।
কৃষিকণ্ঠ : আপনার গ্রীন হাউজে বিভিন্ন প্রজাতির সবজির গাছ সর্ম্পকে বলুন ?
আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া : আমি বিভিন্ন দেশ থেকে ফল ফলাদি গাছের চারা এনে লাগিয়েছি। আমাদের দেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে কমলা, আঙ্গুর ও লিচু এবং রাজশাহী থেকে আম গাছ এনে রোপণ করেছি। বর্তমানে আমার গাছগুলোতে ফল ধরেছে।
কৃষিকণ্ঠ : আপনার ভূঁইয়া হোয়াইট হাউজের উপর শখের বশে কবুতর পালনের ব্যবস্থা করেছেন ....
আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া : আমি আমার পাঁচতলা ভবন করেছি যার নাম দিয়েছি ভূ্ঁইয়া হোয়াইট হাউজ। আর এ ভবনের ছাদের উপর আলাদাভাবে কবুতর থাকার খোপ খোপ রুম করেছি। এখানে প্রায় ২ হাজার কবুতর পালন করছি। কিং কবুতর ১শ' ৮০ টি, রেইছার ৬০টি, সিরাজী ৩শ',ময়ূর পংঙ্খী ২শ' ৮০টি, ফুটবল ৫০টি, বোম্বাই ৪শ' টি, ডাডগা ২শ' টি, এছাড়া ও দেশি কবুতর প্রায় ১ হাজার আছে, এছাড়া ৭০টি রাজহাঁস আছে এবং ২টি ময়না পাখিও আছে।
কৃষিকণ্ঠ : আমাদের সময় দেয়ার জন্যে কৃষিকণ্ঠের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া : আমার নারায়ণপুরের ভূঁইয়া হোয়াইট হাউজ এবং গ্রীন হাউজের পক্ষ থেকে আপনাকেও ধন্যাবাদ।
ফজর | ৪:৫৮ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২১-সূরা : আম্বিয়া যে ঋণী সে কৃতজ্ঞ নহে। পবিত্র হওয়াই ধর্মের অর্থ। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |