চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুদী গ্রামের প্রবাস থেকে দেশে ফিরে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে সবজি চাষ করছেন কৃষক আনোয়ার গাজী। দেশে এসে তার ভাগ্যের পরিবর্তনে সক্ষম হলেও অর্থাভাবে পিছিয়ে পড়ছে তার স্বপ্ন। এ বছর সে ১ একর ৪০ শতক জমিতে ৩ ধরনের ফসল আলু, করলা ও ক্ষিরাই চাষ করেন। একই জমিতে ৩ ফসল চাষ করতে গিয়ে তার খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে কথা হয় মোঃ আনোয়ার গাজীর সাথে। তিনি জানান, আমি প্রবাসে থাকতাম। সেখানে বেশি সুবিধা করতে পারিনি। তাই অনেক টাকা নষ্ট হয়েছে। এবার নিজেই চিন্তা করে ঠিক করছি, দেশে কিছু একটা করবো। এছাড়া আমি বিদেশে যে ভিসায় যাই সে মোতাবেক কাজ পাই না, সেখানে আমি কৃষি কাজ করতাম। ঐ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েও দেশের বিভিন্ন জনের কাছ থেকে জমি বর্গা নিয়ে একই জমিতে তিন ধরনের ফসল করেছি।
ফল উত্তোলন ও বিক্রি করতে কোনো প্রকার অসুবিধা হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফলে উৎপাদিত সবজি বিক্রি নিয়ে তেমন কোনো বেগ পেতে হচ্ছে না। তাদের ওই বিরাট সফলতা দেখে সবজি চাষে উৎসাহী ও উজ্জীবিত হয়ে আশপাশের গ্রামে সবজি চাষ শুরু করেছেন। আনোয়ার আক্ষেপ করে আরো জানান, আমার বাবা মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান চিডু গাজী ১টি কৃষি কার্ড করেছে নামেমাত্র। কৃষি বিভাগের কোনো কর্মকর্তা আমাদের এ ফসলের কোনো প্রকার পরামর্শ ও খোঁজ-খবর নেয়নি। তারপরও আমি মনোবল হারাইনি। পরিবারের সবাই এ কাজে যোগান দেয়। আমি জানি, পরিশ্রম মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা এনে দেয়। কারণ, আমি রাজমিস্ত্রি কাজ করি। তার পাশাপাশি কৃষি কাজে সময় ব্যয় করে আনন্দ উপভোগ করি। আমার সাফল্য ধরে রাখতে আনন্দ উপভোগ করার পরিকল্পনা করেছি। বর্ষাতেই ঝিলের মধ্যে মাছ চাষ করার জন্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে সুপারির গাছ গড়াইল বানানোর কাজ করছি। আমি আমার পরিবারের লোকজন কাজেই বিশ্বাসী। আমার বিশ্বাস, আমি আমার এলাকায় কৃষি ও মৎস্য চাষে বিপ্লব ঘটাতে পারবো ইনশাল্লাহ।
ফজর | ৪:৫৯ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২১-সূরা : আম্বিয়া যে ঋণী সে কৃতজ্ঞ নহে। পবিত্র হওয়াই ধর্মের অর্থ। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |