মোহাম্মদ কামরুল হাছান। তিনি চাঁদপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব
পালন করছেন। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন ভালো ফলাফল করছে, অন্যদিকে সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রমেও অর্জন করছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। সম্প্রতি তাঁর কর্মজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয় দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মুহাম্মদ ফরিদ হাসান।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?
মোহাম্মদ কামরুল হাছান : আলহামদুলিল্লাহ্। ভালো আছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষকতা পেশায় কিভাবে এলেন?
মোহাম্মদ কামরুল হাছান : ছোটবেলায় দেখেছি শিক্ষকদেরকে সবাই অনেক সম্মান করে। তাছাড়া আমার বাবার ইচ্ছা ছিলো আমি যেন সরকারি কলেজের শিক্ষক হই। কাজেই ২০০৫ সালে ২৭তম বিসিএস পরীক্ষার জন্যে প্রথম পছন্দ শিক্ষা ক্যাডার দিয়ে আবেদন করি এবং চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়ে ২০০৮ সালে হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় শিক্ষক কে? কেন প্রিয়?
মোহাম্মদ কামরুল হাছান : ছাত্রজীবনে যে সকল শিক্ষকের সানি্নধ্য পেয়েছি তাঁদের মধ্যে অনেকেই আমার প্রিয়। তবে শ্রদ্ধেয় প্রফেসর মোঃ আসাদুল হাসনাত স্যারের কথা বলতেই হয়। কেননা স্যার সকল শিক্ষার্থীকে নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসতেন। শিক্ষার্থীর মেধাকে বিকশিত করার জন্যে একজন শিক্ষকের যে সকল গুণ থাকা দরকার স্যারের সবই রয়েছে। স্যারের নেতৃত্ব, মেধা, প্রজ্ঞা ও শৃঙ্খলা গুণের কারণেই অনার্স কোর্সে শুরু থেকেই বিভাগটির শিক্ষার্থীরা দেশ সেরা ফলাফল করে আসছে। যা আজো বিদ্যমান।
চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষক হিসেবে প্রথমদিন কেমন কেটেছে?
মোহাম্মদ কামরুল হাছান : ২০০৮ সালের ১৯ নভেম্বর ছিলো শিক্ষক হিসেবে আমার প্রথমদিন। এ দিনটি আমার জন্মদিন ছিলো। কলেজের অধ্যক্ষ স্যারসহ অন্য শিক্ষকবৃন্দ অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আমাকে গ্রহণ করলেন। সকাল ১০টা ২০ মিনিটে আনন্দচিত্তে আমার ক্লাসে উপস্থিত হলাম। জীববিজ্ঞানের ৩০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৬ জন উপস্থিত ছিলো সেদিন। হাতিয়া দেশের মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় অধিকাংশ মানুষ যে আর্থিকভাবে অসচ্ছল তা ক্লাসে উপস্থিত হয়েই শিক্ষার্থীদের অবস্থা দেখে আমি সহজেই বুঝতে পারি। প্রথমে সকলের পরিচিতি পর্ব সেরে নিই। এমন শিক্ষার্থীদের পেয়ে আমার খুবই ভালো লেগেছিলো। তারা প্রথমদিন থেকেই আমার ক্লাস অত্যন্ত মনোযোগের সাথে করতে লাগলো। কলেজ ক্যাম্পাসটি অনেক সুন্দর ছিলো। তাই সব মিলিয়ে শিক্ষকতার প্রথম দিন আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে রইলো।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বর্তমান (কর্মরত) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু বলুন?
মোহাম্মদ কামরুল হাছান : আমার বর্তমান কর্মস্থল চাঁদপুর সরকারি কলেজ। করোনা সংক্রমণের শুরুতে থেকেই কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি বিভাগ অনলাইনে নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছে। যা সারা দেশেই প্রশংসিত এবং অনেক কলেজ এটিকে মডেল হিসেবে নিয়েছে। কলেজে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে অধ্যক্ষ স্যারের মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজানো ক্যাম্পাসটি। ক্যাম্পাসের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবাষির্কীর স্মারক ভাস্কর্য, শহীদ মিনার ও স্মতিসোধ। কলেজের সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বিভাগ সম্পর্কে কিছু বলুন?
মোহাম্মদ কামরুল হাছান : আমি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলাম। আমার সৌভাগ্য আমি বর্তমানে এ বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। এ বিষয়টি বেশ উপভোগ করছি। বিভাগের সকল শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর মধ্যে চমৎকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকায় ভালো ফলাফল অর্জিত হচ্ছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : এ বিভাগ নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মোহাম্মদ কামরুল হাছান : বিভাগে প্রায় ৮০ প্রজাতির অর্কিড নিয়ে একটি ঝুলন্ত অর্কিড বাগান রয়েছে। এটিকে আরো সমৃদ্ধ করে কলেজ ক্যাম্পাসে এটি অর্কিড কর্নার করার ইচ্ছা আছে। বিভাগে একটি টিস্যু কালচার ল্যাব করতে চাই। আশার কথা হচ্ছে ইতিমধ্যেই কাজটি অনেকদূর এগিয়েছি। এছাড়াও প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদ গঠন করা হবে। পরিষদটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভাগের কল্যাণে কাজ করবে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল এমন শিক্ষার্থীদের জন্যে কল্যাণ তহবিল গঠন করতে চাই।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কী কী প্রতিবন্ধকতা দূর হলে এ বিভাগটি আরো ভালো করতো বলে আপনি মনে করেন?
মোহাম্মদ কামরুল হাছান : আমাদের শিক্ষক-কর্মচারী স্বল্পতা, শ্রেণিকক্ষ সংকট রয়েছে। এছাড়াও অত্যাধুনিক ল্যাব ও একটি নান্দনিক সেমিনার কক্ষ প্রয়োজন। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারলে বিভাগটি আরো ভালো করবে বলে আমি মনে করি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু বলুন?
মোহাম্মদ কামরুল হাছান : সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রম যেমন : শিক্ষা সপ্তাহ, বিজ্ঞান মেলা, বিতর্ক, রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, বিভিন্ন ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের গৌরবময় সাফল্য রয়েছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে আপনি কী স্বপ্ন দেখেন?
মোহাম্মদ কামরুল হাছান : আমি স্বপ্ন দেখি, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগটি সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যে রোল মডেল হবে। আমি আরো স্বপ্ন দেখি-এ বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর শিক্ষার্থীরা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে অবস্থান করে প্রকৃত দেশপ্রেমিক হিসেবে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : অবসর সময় কী করেন?
মোহাম্মদ কামরুল হাছান : অবসর সময়ে বই পড়ি, বিভাগের গার্ডেন পরিচর্যা করি, সমাজসেবামূলক কাজে অংশ নিই। আমি ভ্রমণ করতেও পছন্দ করি। সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ি।
ফজর | ৪:৩৪ |
যোহর | ১২:০৩ |
আসর | ৪:৩০ |
মাগরিব | ৬:১৮ |
এশা | ৭:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২-সূরা বাকারা ২৮৬ আয়াত, ৪০ রুকু, মাদানী পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। ৭৪। ইহার পরও তোমাদের হৃদয় কঠিন হইয়া গেল, উহা পাষাণ কিংবা তদপেক্ষা কঠিন। পাথর ও কতক এমন যে, উহা হইতে নদী-নালা প্রবাহিত এবং কতক এইরূপ যে, বিদীর্ণ হওয়ার পর উহা হইতে পানি নির্গত হয়, আবার কতক এমন যাহা আল্লাহর ভয়ে ধসিয়া পড়ে এবং তোমরা যাহা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে অনবহিত নহেন।
শিক্ষার শেকড় তেতো হলেও এর ফল মিষ্টি। _এরিস্টটল। পিতার প্রতি পুত্রের কর্তব্য যে রূপ জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার প্রতি কনিষ্ঠের কর্তব্য ও তদ্রূপ।
|
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |