চাঁদপুর। বুধবার ২৩ নভেম্ববর ২০১৬। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৩। ২২ সফর ১৪৩৮
jibon dip

সর্বশেষ খবর :

  • -
চাঁদপুরে শীতের সবজির দাম বেড়েই চলছে
কৃষিকণ্ঠ প্রতিবেদক
২৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০:০০
প্রিন্টঅ-অ+


 



 



চাঁদপুরে শীতের সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ প্রচুর। কিন্তু তারপরও দাম সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালে আসেনি। শীতের সবজির দাম বেড়েই চলছে। এর পেছনে রয়েছে নানা কারণ। দূর-দূরান্ত থেকে সবজি চাঁদপুরে পর্যন্ত পৌঁছতে পরিবহন খরচ বাবদ ব্যয় হয় অনেক টাকা। তার ওপর পাইকারি বাজারে সক্রিয় রয়েছে সিন্ডিকেট। এভাবে কয়েক হাত বদলে পর্যায়ক্রমে দাম বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ভোক্তা পর্যায়ে আসতে দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায়।



 



এসব দেখার যেন কেউ নেই। এ সুযোগে যে যার মতো করে আদায় করে নিচ্ছে অতিরিক্ত দাম। চাঁদপুরের সর্ববৃহৎ পাইকারি সবজি বাজার পালবাজার, বিপণীবাগ বাজার ও ওয়্যারলেছ বাজার এবং সবজি উৎপাদনে সমৃদ্ধ কয়েকটি উপজেলার খবরে উঠে এসছে এ চিত্র।



বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন অসংখ্য সবজি বোঝাই ট্রাক আসছে ঢাকায়। রাতেই মূলত এসব ট্রাক ঢাকায় প্রবেশ করে। পাইকারি আড়ৎ কারওয়ান বাজারে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই এ সবজি চলে যায় নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটদের হাতে। আর এসব সিন্ডিকেটের কারসাজিতে কয়েক দফা হাতবদলে বেড়ে যাচ্ছে সবজির দাম।



 



সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পালবাজারে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা মেট্রো-ন-১৪০৩১৬ ও বগুরা-ট-১১০৩০ দুটি সবজি বোঝাই ট্রাক প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে এক দল ব্যবসায়ী ট্রাকটি ঘিরে ধরে। কয়েক মিনিটেই দর-দাম বিক্রি শেষ। এভাবে ট্রাক থেকে সবজি নামানোর আগেই কয়েক দফা বিক্রি হয়। আলাপ করে জানা যায়, বগুড়া থেকে আসা বিভিন্ন ধরনের এ সবজি পরের দিন (বুধবার) পাইকারি দামে বিক্রি করা হবে।



 



জানা গেছে, এলাকাভিত্তিক প্রত্যেক কাঁচাবাজারের বিক্রেতা প্রতিনিধিদের নিয়ে এ সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। পালবাজারে প্রতিদিন রাতে সবজি কিনতে এসে সিন্ডিকেটের সদস্যরা একত্রিত হন। এ সময় সবাই মিলে পরদিন কী দরে সবজি বিক্রি হবে তা নির্ধারণ করে নেন। দর নির্ধারণ হয়ে গেলে এলাকাভিত্তিক বাজারের বিক্রেতাদের নির্ধারিত দর নিজ নিজ প্রতিনিধি জানিয়ে দেন।



 



আর পরদিন সিন্ডিকেটের নির্ধারিত দরেই সবজি বিক্রি করেন বিক্রেতারা।



পাইকারি কেনা-বেচা নিয়ে পালবাজারের পাইকারি সবজি ব্যবসায়ীরা এখানে দুই ভাবে সবজির কেনা-বেচা হয়। ব্রিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা ট্রাক বোঝাই করে সবজি এখানে নিয়ে এসে আড়ৎগুলোতে বিক্রি করে। আবার আড়ৎদাররা সরাসরি বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজি কিনে এখানে এনে বিক্রি করে। সবজির সিন্ডিকেট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটা কোনো সিন্ডিকেট না। অমরা কৃষকদের কাছ থেকে কিনে আনি, এর সঙ্গে পরিবহন খরচসহ বিভিন্ন খরচ হিসাব করে সামান্য লাভে বিক্রি করি।'



 



রাত ১১টার দিকে দেখা গেল পাশেই একটি মিনি ট্রাক থেকে টমেটো, বাঁধাকপি ও ফুলকপিসহ অন্যান্য পণ্য নামানো হচ্ছে। ট্রাক ড্রাইভার আকরাম জানান, ঢাকা থেকে এসব সবজি আনা হয়েছে।



 



তিনি বলেন, শুধু পরিবহন ভাড়া বাবদই কেজিতে অতিরিক্ত আড়াই থেকে ৩ টাকা বেশি যোগ হয়। এর সঙ্গে অন্যান্য ব্যয় তো আছেই। তার মতে, পরিবহন ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। এরাই ভাড়া নির্ধারণ করে। আর কম ভাড়ায় কোনো ট্রাক বা পিকআপভ্যান এলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় মালিক সমিতি।



 



পাইকারি থেকে খুচরায় বড় ফারাক



বিভিন্ন সবজি কেজি প্রতি প্রায় ২০ থেকে ২৫ টাকা ব্যবধানে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার সরেজমিন চাঁদপুরের বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি দামে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বাঁধাকপি ৩৫ থেকে ৪০, টমেটো ৭০ থেকে ৮০, মুলা ৩০ থেকে ৩৫, লাউ ৫০ থেকে ৬০, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা ও শিম ৬০ থেকে ৭৫ টাকা।



 



এদিকে চাঁদপুরে বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে পাইকারি দামের তুলনায় সবজি দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি পিছ ফুলকপি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, প্রতি কেজি টমেটো মান ভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৩০ টাকা, লাউ ৫০-৬০ টাকা। এ ছাড়া লাল শাকের অাঁটি ২০-৩০ টাকা, ধনে পাতা (১০০ গ্রাম) ৩৫-৪৫ টাকা, ছোট আকারের মিষ্টি কুমড়া ৩৫-৪৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।



 



 



 


হেরার আলো
বাণী চিরন্তন
আল-হাদিস

২৬-সূরা শু’আরা


২২৭ আয়াত, ১১ রুকু, ‘মক্কী’


পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু  আল্লাহর নামে শুরু করছি।


 


৭৮। যিনি আমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন, তিনিই আমাকে পথ প্রদর্শন করেন। 


৭৯। তিনিই আমাকে দান করেন আহার্য ও পানীয়। 


দয়া করে এই অংশটুকু হেফাজত করুন


 


কর্মদক্ষতাই মানুষের সর্বাপেক্ষা বড় বন্ধু। 


                               -দাওয়ানি।

দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞানচর্চায় নিজেকে উৎসর্গ করো।   


ফটো গ্যালারি
করোনা পরিস্থিতি
বাংলাদেশ বিশ্ব
আক্রান্ত ৭,৫১,৬৫৯ ১৬,৮০,১৩,৪১৫
সুস্থ ৭,৩২,৮১০ ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮
মৃত্যু ১২,৪৪১ ৩৪,৮৮,২৩৭
দেশ ২০০ ২১৩
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আজকের পাঠকসংখ্যা
২৯১৪৮৯৮৪
পুরোন সংখ্যা