পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে থাকায় চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচ-ী ইউনিয়নের কৃষি কাজ থমকে গেছে। এখানে এখনোও বেশির ভাগ ফসলি জমিতে হাঁটু পর্যন্ত পানি। এ কারণে তরপুরচ-ী ইউনিয়নের কৃষক রবি শস্যে উৎপাদনে পিছিয়ে পড়েছে। ফলে বর্গা চাষী কৃষকরা লোকসান গুণছে।
তরপুরচ-ীতে আবুল হোসেন মজুমদার বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজ ও তেতুলতলা খান বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজের দু'পাশে বালি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে এবং পীর হাজী শরিয়ত উল্লাহ (রহঃ) জামে মসজিদ সংলগ্ন ব্রিজ ভেঙ্গে রাস্তার সাথে মিশে আছে। ফলে বর্ষার পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে এ এলাকা জলাবদ্বতায় স্থায়ী রূপ নিয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জিটি রোড খন্দকার বাড়ির দক্ষিণ ও বিটি রোড আখন্দ বাড়ির পশ্চিম হয়ে সরদার বাড়ি, মিজি বাড়ি ও স্বপন ডাক্তারের বাড়ি পর্যন্ত ফসলি জমিতে কোমর পরিমাণ পানি। এ পানিগুলো এক সময় আবুল মজুমদারের বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজের নিচ হয়ে সেনের দিঘির পাড়ের খালে গিয়ে পড়তো। এখন খালের প্রবেশ পথে বালি দিয়ে ভরাট করায় এ পানি আর নিষ্কাশন হচ্ছে না। স্থানীয়রা জানান এ বছর বর্ষার পানি নামতে গিয়ে সেনের দিঘির পাড় থেকে তেতুলতলা সড়কটি ভেঙ্গে গিয়ে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এ সড়কটিতে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ ২০১৫- ২০১৬ সালের অর্থ বছরে এ রাস্তাটি ঢালাই করে নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া ডগার বিলের উওর- দক্ষিণ হয়ে পশ্চিমে সব্দার খান বাড়ি, বন্দুকসি বাড়ির ফসলি জমির পানি তেতুলতলা খান বাড়ি ব্রিজের নিচে দিয়ে ওই সব এলাকার পানি নিষ্কাশন হতো। ব্রিজের দু'পাশে উঠেছে অসংখ্য বাড়ি-ঘর। এখন ব্রিজ আছে। নাই পানি নিষ্কাশনের কোনো মাধ্যম। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কৃষকরা। এদিকে তেতুলতলা পশ্চিম খান বাড়ি ও গাজী বাড়ির ফসলি জমিওগুলোর একই হাল। অপরদিকে পীর হাজী শরিয়ত উল্লাহ (রহঃ) মসজিদ সংলগ্ন খালটি উপর নির্মিত ব্রিজটি গত কয়েক বছর হলো ভেঙ্গে রাস্তার সাথে মিশে দেয়া হয়েছে। সেই ব্রিজের নিচ দিয়ে এক সময় বর্ষার পানি মেঘনা নদীতে গিয়ে পড়তো। এখন ব্রিজের দু'পাশে ঘরে উঠেছে অসংখ্য বাড়ি-ঘর।
তরপুরচ-ীর একাধিক কৃষক ক্ষোভের সাথে এ প্রতিনিধিকে বলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ দরকার। এ মানুষের বড়ই অভাব। গরিব বলে আমাদের কথার কোন দাম নেই। আমরা পরের জমি পোষানি নিয়ে সোনা ফলাই। আজ কয়েক বছর হলো শীত মৌসুমে সবজি চাষ করতে পারিনা। এ এলাকায় বর্ষায় ও বৃষ্টিতে যে পানি জমা পড়ে, তা আর নিষ্কাশন হয়না। পানি যা কিছু শুকায়, তাও রৌদ্রের কারণে।
আধুনিক কৌশল প্রয়োগের ক্ষেএে কৃষক-কৃষাণীরা রয়ে যাচ্ছেন পিছিয়ে। শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দৈন্যদশা ও অসচেতনতায় পিছিয়ে পড়ছে তরপুরচ-ীর কৃষকরা। সচেতনতার অভাবে কৃষকদের এক বিরাট অশংই ফসল উৎপাদনে এখনই সেই সনাতনী ধারণাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। এতে করে আগাম সবজি চাষে পিছিয়ে পড়ছে তারা। অবশ্য এসব বিষয়ে পিছিয়ে পড়ছে কৃষকরা তা তারা স্বীকার করেছেন। কৃষকরা বলেন এ এলাকায় বন্যা বা বর্ষার পানি একটু দেরিতে নিষ্কাশন হয়। যার দরুন জমি শুকাতে শুকাতে কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাস শেষ হয়ে যায়। এতে করে আমরা আগাম সবজি চাষ করতে পারিনা। আমরা যে সকল সবজি চাষ করে থাকি, এসব ফলন বাজারে যখন উঠবে তখন হয়তো বাজারে এগুলোর দাম কম থাকবে।
তরপুরচ-ী বস্নকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সফিউল্লাহ মিয়া বলেন, তরপুরচ-ী ইউনিয়নের ফসলি জমির পানি নিষ্কাশন সময়ের দাবি। সময়মতো পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় কৃষকরা আগাম সবজি চাষে পিছিয়ে পড়ছে। আর এসব এলাকার কৃষকরা যাতে আগাম সবজি চাষ করতো তাদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে। আগামীতে এ এলাকায় কচুরিপানার মাধ্যমে ভাসমান সবজি চাষ করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। রবি শস্যে ফসল উৎপাদনে কৃষকরা পিছিয়ে পড়ছে। তারা আগের সনাতনী ধারায় কৃষি কাজ করছে। কৃষির আধুনিক কলা-কৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা আরো সফল্য অর্জন করতে পারবেন বলে এ কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব। কৃষকদের বিনামূল্যে সার, বীজ বিতরণ করছেন।
এ ব্যপারে কথা হয় তরপুরচ-ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল গাজীর সাথে। তিনি তরপুরচ-ীর ফসলী জমির পানি নিষ্কাশন ও তিনিটি ব্রিজের দু'পাশে বালি দিয়ে ভরাট করে পানির প্রবেশ পথ বন্দ হয়ে জলাবদ্ধতার স্থায়ী রূপ নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, যাতে বৃষ্টি ও বর্ষার পানি জমে জলাবদ্বতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্যে আমরা ড্রেনেজ ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এ ব্যাপারে মাননীয় এমপি ডাঃ দীপু মনির সাথে আলাপ করে ত্বরিৎ ব্যবস্থা নিবো। খালের উপর ব্রিজের দু'পাশ বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে মানুষজন কম ছিলো, বাড়ি-ঘর কম ছিলো। সে সুবাদে বিভিন্ন ফসলি জমির পাশে পানি নিষ্কাশনের জন্যে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। সময়ের পরিবর্তনে যার যার জমি ভরাট করে ফেলছে। এখানে আমরা কি বলবো। তবে আমরা পানি নিষ্কাশনের বিষয়টি খুব গুরুত্বের সহিত দেখছি।
ফজর | ৪:৫৮ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২৬-সূরা শু’আরা ২২৭ আয়াত, ১১ রুকু, ‘মক্কী’ পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। ৭৮। যিনি আমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন, তিনিই আমাকে পথ প্রদর্শন করেন। ৭৯। তিনিই আমাকে দান করেন আহার্য ও পানীয়। দয়া করে এই অংশটুকু হেফাজত করুন কর্মদক্ষতাই মানুষের সর্বাপেক্ষা বড় বন্ধু। -দাওয়ানি। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞানচর্চায় নিজেকে উৎসর্গ করো। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |