কৃষিই বাংলাদেশের প্রাণ। দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হলো কৃষি। বিপুল জনগোষ্ঠির খাদ্য সম্ভার আসে কৃষি জমি থেকে। এখানে কোনো সোনার খনি নেই। মাটিই এ দেশের সোনা। এ মাটিতে সোনা ফলে। কিন্তু দেশের কৃষি জমি প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ অতি ছোট্ট একটি দেশ। কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে এটি পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম দেশ। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে পরিচিত। কৃষির সাথে রয়েছে আমাদের নাড়ির টান। স্মরণাতীতকাল থেকে এ দেশের কৃষক ভাইয়েরা মাটির সাথে সংগ্রাম করে আমাদের ক্ষুধার অন্ন জুগিয়ে আসছেন। আমাদের খাদ্য আমাদেরকেই উৎপাদন করতে হবে। জনসংখ্যা বাড়ছে, খাদ্য চাহিদাও বাড়ছে কিন্তু খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে জমি বাড়ছেনা বরং বিলীন হয়ে যাচ্ছে। মূল্যবান কৃষি জমি রক্ষা করা না গেলে এক সময়_
(ক) কৃষি জমি দুষ্প্রাপ্য হবে ও সোনার চেয়ে দামি হবে।
(খ) অধিকাংশ কৃষক ভাই ভূমিহীন হয়ে পড়বেন।
(গ) খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে।
(ঘ) খাদ্যের জন্য হাহাকার পড়ে যাবে।
(ঙ) খাদ্য আমদানি করে বাঁচতে হবে।
আমরা দেশ প্রেমিক। আমরা দেশকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি। দু' বেলা দু' মুঠো খেয়ে বাঁচতে হলে, দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে হবে। মাতৃভূমিকে ভালোবাসতে হবে। উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে আপামর কৃষক ও কৃষিকে ভালোবাসতে হবে। দেশের কর্ণধার পরিকল্পনাবিদ নীতিনির্ধারক, কৃষিবিদ, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক তথা সর্বস্তরের জ্ঞানী-গুণী সবাইকে কৃষি জমি রক্ষায় এখনই এগিয়ে আসতে হবে। নতুবা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। তাই এখনই_
১. সরকার কর্তৃক কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন করার যে উদ্যোগ ২০১০ সালে নেয়া হয়েছিলো তা বাস্তবায়ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
২. গ্রামাঞ্চলে এলোপাতাড়ি ঘর-বাড়ি নির্মাণ না করে পরিকল্পিতভাবে প্রতিটি ঘর নির্মাণ করতে হবে।
৩. অফিস-আদালত, বসতবাড়ি সমান্তরালভাবে নির্মাণ না করে জায়গা-জমি সাশ্রয়ের জন্য যথাসম্ভব বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হবে।
৪. কৃষি-জমির অপচয় রোধ করার লক্ষ্যে হাউজিং কোম্পানিগুলোর ওপর সরকারি কঠোর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৫. ইটের ভাটা নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রচলিত অনুমোদন পদ্ধতি অতি সহজ। এর ওপর সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। উর্বর ধানী জমির পরিবর্তে অনুর্বর জমিতে অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।
৬. বর্তমানে কোনো কোনো ফসলি জমির মাটি বিক্রি হচ্ছে। ওপরের উর্বর মাটি কেটে নিলে ওই জমিতে কয়েক বছর চাষাবাদ ব্যাহত হয়। এমন আত্মঘাতী কাজ নিষিদ্ধ করতে হবে।
৭. অপরিকল্পিত রাস্তা-ঘাট, বাঁধ, বেড়ি বাঁধ নির্মাণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং চাষাবাদ ব্যাহত হয়।
এসব অবকাঠামো সুপরিকল্পিত-ভাবে তৈরি করতে হবে। পরিবর্তিত জলবায়ু উপযোগী নিত্যনতুন প্রযুক্তি ও ফসলের উফশী জাত উদ্ভাবনে কৃষি গবেষণাকে ঢেলে সাজাতে হবে ও জোরদার করতে হবে।
নতুন নতুন প্রযুক্তি কৃষকের দোরগোড়ায় পৌছাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি তথ্য সার্ভিসকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
৯. মাটির স্বাস্থ্য উন্নয়নে জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
১০. কৃষি উপকরণের মূল্য কমাতে হবে ও উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
আসুন আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে সচেতন হই ও প্রাণপ্রিয় কৃষি ভূমি সুরক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করি এবং সুখী সমৃদ্ধ সোনার দেশ গড়ে তুলি।
ফজর | ৪:৫৮ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
১৯-সূরা : র্মাইয়াম একটি মহৎ আত্মা সমুদ্রে ভাসমান জাহাজের মতো। নিরপেক্ষ লোকের দোয়া সহজে কবুল হয়। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |