চাঁ.স.ক ক্যাম্পাস : চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়ছেন। কেমন লাগছে?
মোঃ মেহেদী হাসান : চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়া আনন্দের বিষয়। বিশেষত আমি যখন ইন্টারে পড়ি, তখনই তো স্বপ্ন দেখতাম কোনো কলেজে পড়বো, অনার্স করবো, মাস্টার্স করবো। তাই স্বভাবতই চাঁদপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হতে পেরে আনন্দিত হয়েছিলাম। অনেক বড় একটি কলেজ। চাঁদপুরের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ এটি। তাই আনন্দিত হওয়াই স্বাভাবিক। কলেজের বিশাল ক্যাম্পাস, শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও বন্ধুদের আড্ডা_ সব মিলিয়ে এ কলেজে পড়তে অসাধারণ লাগছে।
চাঁ.স.ক ক্যাম্পাস : আপনার কলেজের কোন দিকটা আপনার বেশি ভালো লাগে?
মোঃ মেহেদী হাসান : আগেই বলেছি, এটি চাঁদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ একটি বিদ্যাপীঠ। এ কলেজের নেতিবাচক দিক অনেক কম। ইতিবাচকই অধিকাংশ দিক। কলেজের অনেক বিষয় আশয় আছে, যা আমাকে মুগ্ধ করে। বিশেষত শিক্ষকদের আন্তরিকতার কথা না বললেই নয়। আমাদের শিক্ষকরা অনেক আন্তরিক। তারা চেষ্টা করেন তাদের সবটুকু উজাড় করে দিতে। তারা চান আমরা যেন ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারি। তাই তাদের পক্ষ থেকে তারা চেষ্টার কোনো ত্রুটি করেন না। আমাদের অধ্যক্ষ স্যারের কথা বলতেই হয়। তাঁর মতো অসাধারণ অধ্যক্ষ থাকাতেই কলেজটি ক্রমশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। স্যারের আন্তরিকতার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। সেটা সবাই জানে। তাঁকে শিক্ষার্থীরা সব সময় তাদের পাশে পায়। স্যারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
চাঁ.স.ক ক্যাম্পাস : কলেজের কোন কোন সমস্যা আপনাকে নাড়া দেয়?
মোঃ মেহেদী হাসান : কলেজের কিছু কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে কলেজের ভেতর বহিরাগতদের প্রবেশ বা মোটর সাইকেল প্রবেশ না করতে দেয়া উচিত। আমাদের কলেজে যাতে বহিরাগত কেউ ঢুকতে না পারে_ তেমন ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আর খেলাধুলায় এ কলেজের শিক্ষার্থীদের আরো অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
চাঁ.স.ক ক্যাম্পাস : কলেজে আপনার প্রিয় শিক্ষক কে? কেন?
মোঃ মেহেদী হাসান : আমি এখন গণিত বিভাগে পড়ছি। আমি এক যুগের বেশি সময় ধরে পড়াশোনার সাথে সম্পৃক্ত। স্কুল কলেজ পেরিয়ে আমি অনার্স করছি। অসংখ্য শিক্ষকের সানি্নধ্য আমি পেয়েছি। যা আমাকে কখনো আনন্দিত করেছে, কখনো উৎসাহিত করেছে ভালো কিছু করার। অনেক শিক্ষকই আছেন যাঁরা আমার খুব প্রিয়। যারা আমাকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করেন নুতন কিছু করতে। চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষকদের কথা বললে বলতে হয় শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ স্যারের কথা। অত্যন্ত অমায়িক একজন মানুষ তিনি। পড়াতে গেলে তিনি যে প্রাজ্ঞ মানুষ, তা আমরা সহজেই বুঝতে পারি। তিনি একবার যা আমাদের বুঝিয়ে দেন, পরবর্তীতে সেটি বুঝতে আমাদের আর অসুবিধা হয় না। শুধু আমি কেন, অনেক শিক্ষার্থীরই প্রিয় শিক্ষক তিনি। সুভাষ স্যারকেও আমার ভালো লাগে।
চাঁ.স.ক ক্যাম্পাস : কলেজের রয়েছে বিশ হাজারের অধিক বই সমৃদ্ধ একটি লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরি সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি?
মোঃ মেহেদী হাসান : বই পড়তে আমার ভালো লাগে। আমাদের কলেজ লাইব্রেরিতে আমাদের পাঠ্যবই যেমন আছে, তেমনি আছে গল্প কবিতা ও উপন্যাসের বই। মাঝে মাঝেই লাইব্রেরিতে যাই। কখনো পাঠ্যবই পড়ি। কখনো উপন্যাস পড়ি। অনেকেই লাইব্রেরিতে এসে পড়াশোনা করে। সেখানে দলগতভাবে পড়তে ভালো লাগে। আমাদের লাইব্রেরিয়ান তৃপ্তি সাহা ম্যাডামও অনেক আন্তরিক। তিনি আমাদের যথাসাধ্য সহযোগিতা করে থাকেন।
চাঁ.স.ক ক্যাম্পাস : আপনি হলে থাকেন। হল জীবন কাটছে?
মোঃ মেহেদী হাসান : হল জীবন আসলেই অনেক আনন্দের। এ কথা আগে বড় ভাইদের মুখে শুনতাম। হলে থাকার মজাই নাকি আলাদা। এ কলেজে যখন ভর্তি হই তখন তো কাউকেই খুব একটা চিনতাম না। কিন্তু হলে উঠার পর অনেককেই পেয়ে গেলাম। অনেক বড় ভাইকেও পেলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি আড্ডা দেয়া, খেলাধুলা সবকিছুই এখানে অনেক আনন্দের। ভালো লাগছে।
চাঁ.স.ক ক্যাম্পাস : ক্যাম্পাসে কি আড্ডা দেন? আপনার আড্ডার সঙ্গী কারা?
মোঃ মেহেদী হাসান : আমার ইয়ারমিটরাই আমার আড্ডার সঙ্গী। আমরা কলেজ মাঠে কখনো বসি। আবার লাইব্রেরিতেও বসি। এ আড্ডা অনেক জমজমাট হয়ে থাকে। কারণ, সবাই কোনো কোনো বিশেষত্ব বহন করে। কেউ খুব হাসাতে পারে। কেউ পড়াশোনার জন্যে নিবেদিত প্রাণ। কেউ আবার গান গাইতে পারে। সব মিলিয়ে আমার কলেজ বন্ধুরাই আমার ক্যাম্পাসের সময়টুকু মাতিয়ে রাখে।
চাঁ.স.ক ক্যাম্পাস : কলেজের খেলাধুলায় আপনার অংশগ্রহণ কেমন?
মোঃ মেহেদী হাসান : আমি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে থাকি। আমাদের কমন রুম আছে। ক্লাসের অবসরে সেখানে যাই। ক্যারাম খেলি।
চাঁ.স.ক ক্যাম্পাস : পড়াশোনার বাইরে আর কি করেন?
মোঃ মেহেদী হাসান : পড়াশোনার বাইরে টিউশনি করি।
চাঁ.স.ক ক্যাম্পাস : পড়াশোনা শেষ করে কি হতে চান?
মোঃ মেহেদী হাসান : আমি শিক্ষক হবো। শিক্ষকতা করতে চাই। আমি চাই সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে। বিশেষত অজ্ঞতার অাঁধার দূর করতে ও সমাজকে এগিয়ে নিতে শিক্ষকদের কোনো বিকল্প কিছু নেই।
চাঁ.স.ক ক্যাম্পাস : সামাজিক দায়বোধকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মোঃ মেহেদী হাসান : মানুষ তো সামাজিক জীব। তাই তার সামাজিক দায় তো থাকবেই। সমাজের জন্যে প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো কাজ করতে হবে। তবেই সমাজ এগিয়ে যাবে। আমি তুমি সে মিলেই সমাজ। আমাদের কর্মের মধ্য দিয়েই সমাজ এগিয়ে যাবে। মানুষের জন্যে কাজ করতে হবে। তবে আগে আত্মউন্নয়ন করতে হবে। আত্ম উন্নয়ন হলেই সমাজের উন্নয়ন হবে। সমাজ ও রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে।
চাঁ.স.ক ক্যাম্পাস : শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে কি বলবেন?
মোঃ মেহেদী হাসান : আজকে আমি কথা বলছি, কলেজে যাচ্ছি বা শিক্ষক হবার স্বপ্ন দেখছি_ তাতে শিক্ষকদের অবদান অনেক। স্যাররা আমাদের জন্যে অনেক কষ্ট করে থাকেন। আমরা স্যারদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি সবসময় স্যারদের দোয়া ও আশির্বাদ প্রার্থী।
চাঁ.স.ক ক্যাম্পাস : অবসর সময়ে কি করেন?
মোঃ মেহেদী হাসান : অবসর সময়ে কখনো ক্রিকেট খেলি। কখনো বই পড়ি। গান গাইতেও খারাপ লাগে না। মাঝে মাঝে গান গাই।
চাঁ.স.ক ক্যাম্পাস : এই মুহূর্তে যে কবিতাটি মনে পড়ছে_
মোঃ মেহেদী হাসান : মনে পড়ছে কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতাটির অংশবিশেষ।
'আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল
তাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল।
তিনি অতিক্রান্ত পাহাড়ের কথা বলতেন
অরণ্য এবং শ্বাপদের কথা বলতেন
পতিত জমি আবাদের কথা বলতেন
তিনি কবি এবং কবিতার কথা বলতেন।
জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কবিতা,
কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কবিতা।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
আমি বিচলিত স্নেহের কথা বলছি
গর্ভবতী বোনের মৃত্যুর কথা বলছি
আমি আমার ভালোবাসার কথা বলছি।
ভালোবাসা দিলে মা মরে যায়
যুদ্ধ আসে ভালোবেসে
মা'য়ের ছেলেরা চলে যায়,
আমি আমার ভাইয়ের কথা বলছি।'
চাঁ.স.ক ক্যাম্পাস : সবশেষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কি বলবেন?
মোঃ মেহেদী হাসান : সবাইকে কিছু না কিছু করা উচিত। যাতে করে পৃথিবী তাকে মনে রাখে। কর্মহীন ও চর্চাহীন জীবন বৃথা। আমাদের কাজ পড়াশোনা করা। কলেজকে ভালো ফলাফল উপহার দেয়া। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুন্দর পৃথিবী গড়া সম্ভব।
ফজর | ৪:৫৮ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২২-হাজ্জ বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। যে ধনী বিখ্যাত হওয়ার জন্য দান করে সে প্রথমে দোজখে প্রবেশ করবে। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |