গ্রামবাংলার প্রতিটি বাড়ির শোভা বর্ধনকারী এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বাঁশঝাড় আজ বিলুপ্তির পথে-। এই বাঁশঝাড় নিয়েই পল্লী কবি জসিমউদ্দিন হয়তোবা তার 'কাজলা দিদি' কবিতায় লিখেছেন- 'বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ, মাগো আমার শোলক বলার কাজলা দিদি কই ?' পল্লী কবির ওই বাঁশবাগান আজ চাঁদপুরে যেন শুধুই স্মৃতি! ইতিপূর্বেকার প্রত্যেক বাড়ির পেছন পাশে এখন আর বাঁশবাগান বা বাঁশঝাড় দেখা যায় না। দিনে দিনে উজাড় হয়ে যাচ্ছে বাঁশঝাড়। গ্রামবাংলার ইতিপূর্বে প্রতিটি বাড়ির আনাচে-কানাচে দেখা যেতো বাঁশঝাড়। কিন্তু গ্রামবাংলার সেই চিরচেনা দৃশ্য যেন এখন আর নেই। এই ডিজিটাল যুগে পাল্টে গেছে সব কিছু। বদলে গেছে পূর্বেকার অনেক কিছুই। যুগ যুগ ধরে গ্রামবাংলার মানুষ ঘরবাড়ি তৈরি, গরু-মহিষের ঘর তৈরি, বাঁশের সাঁকো তৈরি এবং গৃহস্থালীর নানান কাজে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহার করতেন। কিন্তু বর্তমানে মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করায় সেই বাপ-দাদার আমলের বাঁশের সামগ্রী যে আজ শুধুই স্মৃতি হতে চলছে। মানুষের চিন্তাধারায় ও আমূল পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন প্রয়োজনের তাগিদে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। সে জন্যই বুঝি বাঁশ দিয়ে ঘরবাড়ি এবং নানা স্থাপনা নির্মাণ, গৃহস্থালী জিনিসপত্রে বাঁশের ব্যবহার এখন যেন অনেকেই কল্পনাও করতে পারছে না। সবই যেন পাল্টে গেছে। পাল্টেছে সময় ও সমাজ। তাই বাঁশের স্থান দখল করেছে ইট-পাথরসহ রড-সিমেন্টের খুঁটি। অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় অনেকের হয়েছে ইট পাথরের অথবা টিনের ঘরবাড়ি। রড-সিমেন্ট এবং ইট-পাথরের দাম বেশি হলেও সামর্থ্য বেড়ে যাওয়ায় এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি, বেশি বেশি টেকসই আর নিরাপত্তার কারণে বিত্তশালীরাতো বটেই বেশির ভাগ মানুষ যে ভাবেই হোক দুঃখে-কষ্টে ঘরবাড়ি নির্মাণে আর বাঁশের ব্যবহার তেমন একটা করছে না। তবে বাঁশের কদর বিত্তবানদের কাছে আগের মত না থাকলেও এখনও সেই বাঁশের কদর রয়েছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে। ইতিপূর্বে নিজস্ব প্রয়োজনের তাগিদেই বাঁশ চাষে অর্থাৎ বাগান করতে ব্যাপক আগ্রহী ছিলো। যখন এমন কোনো বাড়ি ছিল না যে বাড়ি কোনো না কোনো কোণে বাঁশঝাড় না ছিলো। কিন্তু এখন আর আগের মতো বাঁশঝাড় চোখে পড়ে না।
ফজর | ৪:৫৯ |
যোহর | ১১:৪৫ |
আসর | ৩:৩৬ |
মাগরিব | ৫:১৫ |
এশা | ৬:৩১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২২-সূরা হাজ্জ প্রতিভা আর প্রেরণা একই জিনিস। -ভিক্টর হুগো। কাউকে অভিশাপ দেওয়া সত্যপরায়ণ ব্যক্তির উচিত নয়। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |