মানব মনের সুখ-দুঃখ, কৌতূহল, আবেগ, হতাশা, প্রাপ্তির আনন্দ, ভালো লাগা প্রকাশের মাধ্যম ভাষা। হাসি-কান্নার অভিব্যক্তি। বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে জয়ের স্বাদের আমোদিত উল্লাস জানাতে, জানতে সবখানেই ভাষার কী অবিশ্রান্ত ব্যবহার! বাঙালি হিসেবে আমাদের বহু দিনের স্বযতনে লালিত ভাষা বাংলা। প্রাচীন বাংলা ভাষার প্রথম কবি ছিলেন (ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে) মৎস্যেন্দ্রনাথ বা মীন নাথ। বাংলা সাহিত্যের প্রথম নির্দশন চর্যাপদে তাঁর চারটি পংক্তি উল্লেখ রয়েছে।
'কহন্তি গুরু পরমার্থের বাট/কর্ম কুরঙ্গ সমাধিক পাট
কমল বিকসিল কহিহ ন জমরা/কমল মধু পিবিবি থেকে ন ভমরা '
মৎস্যেন্দ্রনাথের এই কবিতাটি প্রাচীন বাংলা বা বাংলা ভাষার উন্মেষকালে তথা আনুমানিক ৬৫০-৭০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত। কিন্তু উপরোক্ত পংক্তিগুলোতে কিছু বাংলা শব্দ হাজার বছর পেরিয়ে এসেও এখনো বাংলা ভাষায় এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। মীননাথের কবিতায় ব্যবহৃত গুরু, কর্ম, কমল, মধু, ভমরা প্রভৃতি শব্দগুলো আধুনিক বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে হার-হামেশাই বাঙালিরা তাদের বচনে উল্লেখ করে থাকে। তাই নির্দ্বিধায়, নিঃসন্দেহে বলা যায়, বাঙালির মুখের ভাষা বাংলা নেহাৎ পঞ্চাশ-একশ বছরের ঐতিহ্য নয়, বরং বাংলা ভাষার এ ঐতিহ্য, ভাষা লালনের প্রক্রিয়া দেড় হাজার বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা অবিরাম চর্চার ফসল। আনুমানিক পাল শাসন আমলে উন্মেষ শুরু থেকে পরবর্তীতে এক সহস্র বছরে যৌবনপ্রাপ্ত হলেও বাংলা ভাষা সবসময়ই ছিলো অবহেলিত। কখনো এটি রাজভাষা কিংবা রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা পায়নি। বাঙালির উত্থানে যে কটি আন্দোলন অর্থবহ তাদের মধ্যে বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন অন্যতম। ভাষা আন্দোলনের পরবর্তীতে বিশেষত কবিরের ক্ষুরধার কবিতায় উঠে এসেছে ভাষা আন্দোলনের চিত্র-চেতনা-ব্যাঞ্জনা-রূপকল্প। বাংলা সাহিত্যে নদী, নারী ও স্বাধীনতা নিয়ে ব্যাপক লেখালেখির স্রোতের সাথে সাথে সমানতালে তাল মিলিয়ে ভেসে চলেছে ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট পানসি্। একুশ নিয়ে সাহিত্যকর্ম লেখা যেমন অতীতে হয়েছে তেমনি ভবিষ্যতেও হবে। বাংলা কবিতায় ভাষা আন্দোলন কীভাবে উঠে এসেছে তা-ই এ লেখার উপজীব্য বিষয়। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত উল্লেখযোগ্য ক'খানা কবিতার আলোচনা ও উপজীব্য বিষয় তুলে ধরতেই আমার এ লেখার হেতু।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে একশ চুয়ালি্লশ ধারা ভঙ্গ করে ছাত্ররা মিছিল বের করলে সেই মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। সালাম, রফিক, বরকতদের রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। এ খবরে সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এর থেকে বাদ পড়েনি কবির কলমও। একুশের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় প্রথম কবিতা রচিত হয় চট্টগ্রামে। মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী সেদিনই লিখেছিলেন ১শ' ২০ লাইনের কবিতা 'কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি'। কবি এই কবিতার প্রতিটি লাইনের ঘটিয়েছেন প্রতিবাদের বিস্ফোরণ। কী অনবদ্য কাব্যিক প্রতিবাদ! প্রতিবাদে রাগে-ক্ষোভে ফেটে পড়া এ কবিতাটি বাঙালির রক্তের কণায় কণায় প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। গ্রন্থাকারে কবিতাটি প্রকাশ হলে কাব্যিক প্রতিবাদের ভয়ে ভীত-শঙ্কিত তৎকালীন সরকার সাথে সাথেই বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। 'কাঁদতে আসেনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি' কবিতায় রমনার রোদ্রদগ্ধ কৃষ্ণচূড়ার তলে ভাষার দাবিতে যাঁদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে রাজপথ, কবি তাঁদের মৃত্যুতে কাঁদতে আসেননি। কবি এসেছেন যারা বাঙালি ও বাংলা ভাষাকে নিচিহ্ন করে দিতে চায় তাদের ফাঁসির দাবি নিয়ে। কবি দেখতে পেয়েছেন ভাষা শহীদদের প্রতিটি রক্তকণা রমনার ঘাসের বুকে আগুনের মতো জ্বলছে। এসব শহীদদের মধ্যেই লুকিয়ে ছিলো লিংকন, রকফেলার, আইনস্টাইনের প্রতিচ্ছবি। শহীদরা গিয়েছিলো এদেশের সাংস্কৃতিক মর্যাদার জন্যে, গিয়েছিলো বাংলা সাহিত্য, মায়ের মুখের গল্প আর কবিতার প্রতিটি অক্ষরের জন্যে। তাঁদের মায়ের ভাষা ফিরিয়ে আনতে তাঁরা গিয়েছিলো। আজ তাঁদের মৃত্যুতে কবি দাবি নিয়ে এসেছেন-
'যারা গুলি ভরতি রাইফেল নিয়ে এসেছিলো ওখানে/যারা এসেছিলো নির্দয়ভাবে হত্যা করার আদেশ নিয়ে/আমরা তাদের কাছে/ভাষার জন্য আবেদন জানাতেও আসিনি আজ/আমরা এসেছি খুনি জালিমের ফাঁসির দাবি নিয়ে।'
কবিতার এই দাবি সেদিন হয়ে উঠেছিলো সমগ্র বাঙালি জাতির দাবি। কবিতার মাধ্যমেই আছড়ে পড়লো ক্ষোভ, দুমড়ে-মুচড়ে দিতে চাইলো সকল অন্যায় অবিচার। সময়, চিত্রকল্প, ভাষাশৈলীর বিচারে কেউ কেউ এই কবিতাকে বলেছেন 'একুশের সেরা প্রতিবাদী কবিতা'। সময়-কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন। কারণ, তখনকার বিরূপ সময়ে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণসম এমন কবিতা লেখার সাহস করা কম প্রশংসার দাবি রাখে না।
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লিখেছিলেন 'আমার ভাইয়ের রক্তের রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি' কবিতাটি। যা প্রথমে আবদুল লতিফ, পরবর্তীতে আলতাফ মাহমুদের সুরে গান হয়ে ওঠে। একুশে ফেব্রুয়ারিতে এই গানটি সুর বার বার আমাদের বলে ফেরে একুশের মহাত্ম আর বাংলা ভাষাপ্রীতির কথা। বাংলাসাহিত্যে এমন কবি খুব কমই আছেন যারা ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে কবিতা লিখেননি। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির দিন থেকেই শুরু হয়েছিলো ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে কবিতা লেখা। বায়ান্নের পঁচিশের ফেব্রুয়ারিতে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বরেণ্য সাহিত্যিক আলাউদ্দিন আল আজাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলে বসে একুশে ফেব্রুয়ারি ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় লিখিছিলেন 'স্মৃতিস্তম্ভ' কবিতাটি। ভাষা শহীদদের স্মৃতি, আত্মত্যাগের ইতিহাস তাদের মহাত্মকে বাড়ায়নি শুধু, সাথে সাথে বাড়িয়েছে সমগ্র বাঙালি জাতি সত্তার মর্যাদা। বাঙালিরা মায়ের ভাষা আনতে প্রাণ দেয় তা সারাবিশ্বে ভাষাপ্রীতির আদর্শ হয়ে আছে, থাকবে। কবি মনে করেন, জালিমরা মানুষনির্মিত শহীদ মিনার ভাঙলে ভাঙ্গুক, তাতে কি। শহীদরা মিশে আছে প্রতিটি বাঙালির রক্তের কণায় কণায়। এই রক্তে নির্মিত শহীদ মিনার কে ভাঙ্গবে? কবির পঙ্তিমালা-
'ইটের মিনার ভেঙেছে ভাঙুক/একটি মিনার গড়েছি আমরা চার কোটি কারিগর/বেহালার সুরে রাঙা হৃদয়ের বর্ণলেখায়। পলাশের আর/রামধনুকের গভীর চোখের তারায় তারায়/দ্বীপ হয়ে ভাসে যাদের জীবন/যুগে যুগে সেই শহীদের নাম/এঁকেছি প্রেমের ফেনিল শিখায়, তোমাদের নামে তাই আমাদের/হাজার মুঠির বজ্্র শিখরে সূর্যের মতো জ্বলে শুধু এক শপথের ভাস্কর।' (স্মৃতিস্তম্ভ কবিতার একাংশ)।
একুশকে নিয়ে পরাবাস্তবতার কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক আবদুল মান্নান সৈয়দ যে কটি কবিতা লিখেছেন তার মধ্যে 'একুশে ফেব্রুয়ারি' কবিতাটি বেশ সমৃদ্ধ। এই কবিতাটি একুশের অন্য কবিতাগুলো থেকে একটু ব্যতিক্রমই বটে। কেমন ছিলো বায়ান্নের দিনগুলো তা তিনি পাঠকদের জানিয়ে দিয়েছেন একজন কিশোরের দিনলিপি, সরল ব্যঞ্জনার মাধ্যমে কবিতায় তুলে ধরে। কবিতায় বছরের অন্য সবগুলো দিনেই মতোই চলছিলো কিশোরদের জীবনের নৌকা, তারই মধ্যে একদিন হঠাৎ... কবি লিখেছেন-
'পাড়ায় পাড়ায় নাটক_ ব্রতচারী নাচ_
মুকুলের মাহফিল-কৃষ্ণচূড়া আর পলাশ ফুল
আর সবুজের স্বরগ্রাম:
কলাপাতা-সবুজ, ফিরোজা, গাঢ় সবুজ, নীল,
তারই মধ্যে বছরের একটি দিনে
রাস্তায় রাস্তায় উঠে আসে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত"
'রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই! রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই!'
(একুশে ফেব্রুয়ারির অংশ বিশেষ)
'...চিঠিটা তার পকেটে ছিলো/ছেঁড়া আর রক্তে ভেজা/মাগো, ওরা বলে/সবার কথা কেড়ে নেবে/তাই কি হয়?/তাইতো আমার দেরি হচ্ছে।/তোমার জন্য কথার ঝুরি নিয়ে/তবেই না বাড়ি ফিরবো..' আবার আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর 'মাগো ওরা বলে' কবিতায় এক দুঃখিনী মায়ের চিত্রকল্প এঁকেছেন। মায়ের আদরের সেই খোকাটির আর বাড়ি ফেরা হয় না। অথচ ঘরে প্রতীক্ষা কাতর মা ছেলের জন্যে সখের উড়কি ধানের মুড়কি ভাজে, নারকেলের চিড়ে কোটে। একসময় কুমড়ো ফুল শুকিয়ে যায়, ঝরে পড়ে কিন্তু খোকা ছুটি পায় না। কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ এই কবিতায় অত্যন্ত কোমল হাতে, ঝাপসা চোখে ভাষা আন্দোলনে শহীদ ছেলের জন্যে মায়ের প্রতীক্ষা যে কতো তীব্র, কত কষ্টের তা বিবৃত করেছেন। মাগো ওরা বলে কবিতার চারপাশের পরিবেশে গ্রামের ফুল মাটি জল হওয়ায় পাঠকদের চোখে বার বার একজন প্রতীক্ষা কাতর ক্লান্ত সহজ-সরল মায়ের ছবি ফুটে ওঠে। এ কবিতাটিকে নিদ্বির্ধায় ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত অন্যতম সেরা কবিতা হিসেবে বলা যায়।
কবি শামসুর রাহমানের 'বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে' কবিতায় বাংলা ভাষার উচ্চারণে নিকানো উঠানে ঝরে রোদ, অন্ধ বাউলের হাতে বাজে একতারা, নদীও বলে যায় নর্তকী। বাংলা ভাষা উচ্চারণকে ভিত্তি করে শামসুর রাহমান এই কবিতায় প্রাকৃতিক রূপকল্পের সাথে সাথে এনেছেন স্বাভাবিক অথচ প্রগাঢ় মানব জীবনের প্রতিচ্ছবি। বাংলা শব্দ উচ্চারণ হলে কবির চোখে ভেসে ওঠে একুশের প্রথম প্রভাতফেরি। কবির ভাষ্য-
'...বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে চোখে ভেসে ওঠে/কত চেনা ছবি; মা আমার দোলনা দুলিয়ে কাটছেন ঘুম পারানিয়া ছড়া.../নানী বিষাদ সিন্ধু স্পন্দে দুলে দুলে রমজানি সাঁঝে ভাজেন ডালের বড়া/আর একুশের প্রথম প্রভাত ফেরি, অলৌকিক ভোর।'
শামসুর রাহমান যেখানে দেখেছেন প্রভাতফেরির অলৌকিক ভোর, সেখানে সমকালীন কবি মহাদেব সাহার 'তোমরা কি জানো' কবিতার অভিব্যক্তি, আকাশে ভেসে থাকা শোকার্ত মেঘ, মাটির জমিনে পড়ে থাকা থোকা থোকা শিশিরের বিন্দু আদতে এগুলো মেঘ কিংবা শিশির বিন্দু নয়। এগুলো একুশের ভাষা শহীদের প্রিয়জনের তপ্ত অশ্রু। কবি জিজ্ঞেস করেছেন, 'তোমরা কি জানো, এ শহর কেনো হঠাৎ এমন/মৌন মিছিলে হয়ে ওঠে ভারী, অশ্রুসিক্ত?' কবির চিত্রকল্পে ফুঠে ওঠা রঙিন আলপনাকে কবি ফুটিয়ে তুলেছেন এভাবে-
'একুশের রাজপথ জুড়ে এতো রঙিন আল্পনা অাঁকা/তোমরা কি জানো সে তো নয় কোনো রঙ ও তুলির ব্যাঞ্জনা কিছু/এই আলপনা, পথের শিল্প শহীদের তাজা রক্তের রঙ মাখা!'
একুশের প্রেক্ষাপটে রচিত কবিতার মধ্যে পল্লীকবি জসীমউদদীনের 'একুশের গান', সুফিয়া কামালের 'এমন আশ্চর্য দিন', মাজহারুল ইসলামের 'স্বাগত ভাষা', হাসান হাফিজুর রহমানের 'অমর একুশে', কায়সুল হকের 'একুশের কবিতা', মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহর 'স্মৃতির মিনার', আল মাহমুদের 'একুশের কবিতা', মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের 'কৃষ্ণচূড়ার মেঘ' ওমর আলীর 'বেদখল হয়ে যাচ্ছে', শহীদ কাদরীর 'একুশের স্বীকারোক্তি', আনিসুজ্জামানের 'তারা', আসাদ চৌধুরীর 'ফাগুন এলেই', ড. আবু হেনা মোস্তফা কামালের 'বর্ণমালা', সৈয়দ শামসুল হকের 'একুশের কবিতা' বেশ উল্লেখযোগ্য।
একুশের প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত কবিতায় কখনো ফুটে উঠেছে সন্তানহারা মায়ের নির্মম প্রতীক্ষা, কখনো কবিতায় স্থান পেয়েছে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণার অক্ষরে প্রতিবাদ। একুশের কবিতাগুলো দেশের ঐতিহ্যগত চেতনারই ফসল। এসব কবিতার প্রতিটি লাইন, প্রতিটি শব্দ একুশকে মহাত্ম করে; পৃথিবীকে জানিয়ে দেয় বাঙালিরা তাদের মায়ের ভাষাকে কত ভালোবাসে।
এসব কবিতার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের মাঝে সঞ্চারিত হবে একুশের ইতিহাস, ভাষাপ্রেমের নমুনা। তাই একুশকে মনে রাখতে, ভাষা শহীদদের সম্মান জানাতে কবি আবদুল মান্নান সৈয়দের 'একুশে ফেব্রুয়ারি' কবিতায় কবির আহ্বানের সাথে একাত্ম হয়ে বলি-
হে নতুন প্রজন্ম!/ভুলে যেয়ো না সেইসব কিশোরের কথা/যারা একদিন কচি গলায়/বাংলাদেশের সব শহরের রাস্তায় রাস্তায়/অজস্র কৃষ্ণচূড়া আর পলাশ ফুলের গন্ধে/ফুটিয়ে তুলেছিলো আরেক রকম রক্ত-লাল-ফুল;/'রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই!'
ফজর | ৫:২২ |
যোহর | ১২:১২ |
আসর | ৪:০৭ |
মাগরিব | ৫:৪৬ |
এশা | ৭:০১ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২-সূরা বাকারা ২৮৬ আয়াত, ৪০ রুকু, মাদানী পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। ৭৯। সুতরাং দুর্ভোগ তাহাদের জন্য যাহারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে, 'ইহা আল্লাহর নিকট হইতে।' তাহাদের হাত যাহা রচনা করিয়াছে তাহার জন্য শাস্তি তাহাদের এবং যাহা তাহারা উপার্জন করে তাহার জন্য শাস্তি তাহাদের।
assets/data_files/web
আত্মার সৌন্দর্য মানুষকে পরিপূর্ণতা দান করে। _টমাস ফুলার।
যে ব্যক্তি প্রথম সালাম দেয়, সে অহঙ্কার মুক্ত।
|
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৭,৫১,৬৫৯ | ১৬,৮০,১৩,৪১৫ |
সুস্থ | ৭,৩২,৮১০ | ১৪,৯৩,৫৬,৭৪৮ |
মৃত্যু | ১২,৪৪১ | ৩৪,৮৮,২৩৭ |
দেশ | ২০০ ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |